সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্ভবত এই ব্যক্তি মৃত শেখ নাসিম উদ্দিনের ভায়রাভাই। যদিও এ বিষয়ে এখনও সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ঘটনায় ভেঙে পড়া বহুতলের প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত মহম্মদ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ২৮৮, ৪২৭ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হলো । তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা।
advertisement
আরও পড়ুন: মার্চেই মহালক্ষ্মী রাজযোগ! ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়বে এই ৩ রাশির, জীবনে আসছে সুসময়
ধৃত ওয়াসিমকে জেরা করে একাধিক তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নির্মাণ কাজ চলছিল। প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের পার্টনার ছিল শেরু। ওয়াসিমের দাবি, শেরু এখনও (সোমবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত) ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়ল এই বহুতল? তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, জমির মালিক নাসির আহমেদ প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের কাছে দাবি করেন, পঞ্চম তলে তাঁর ফ্ল্যাট আগে বানিয়ে দিতে হবে। সেই মতো নিচের তলার ফ্ল্যাট না বানিয়ে ওপর তলার ফ্ল্যাট তৈরির কাজ চলছিল। ধৃত ওয়াসিমকে জেরা করেই এইসব তথ্য জানা গিয়েছে বলেই দাবি।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এর ফলেই ভার বহন করতে পারেনি বহুতলটি। একটু একটু করে বিমগুলি বাঁকতে থাকে। তার ফলেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেটি। পাঁচতলা আবাসনে ১৬টি ৫০০ বর্গফুট ফ্ল্যাট তৈরির কাজ চলছিল। প্রতি বর্গফুটের দাম ১৫০০-১৬০০ টাকা। সুতরাং, এক একটি ফ্ল্যাটের দাম প্রায় ৮ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, যেখানে বহুতল ভেঙে পড়েছে, সেখানে সোমবার সকালেই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এদিন সকালে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ আহতরা যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, সেখানে আজ সকালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আহতদের সঙ্গে সাক্ষাত্ও করেন তিনি।