এবার করোনা বিধি নিষেধের জন্য তীর্থযাত্রী কম এসেছে মেলায়। সাধুদের দান সামগ্রী মেলেনি বলা চলে। বাবুঘাটের মেলা প্রাঙ্গণে দেখা গেল কিছুটা চাল, সামান্য কিছু কাঁচা টাকা ছাড়া সাধু বাবাদের ঝুলিতে আর কিছু নেই।
আরও পড়ুন- ১২ ফেব্রুয়ারি চার পুরসভার ভোট, হাইকোর্টের পরামর্শ নতুন দিন ঘোষণা কমিশনের
গোরক্ষপুর থেকে আসা এক সাধু বাবা বললেন এবারের গঙ্গাসাগর মেলার স্নান এবং মন্দিরে কপিল মুনির দর্শন খুব ভালভাবে করেছেন। মন শান্তি হয়েছে। তবে ভিক্ষা তেমন জোটেনি। আরেক সাধু বাবা বললেন ,করোনা তাঁদের কোনো দিনই হবে না। তাঁরা ঈশ্বরের সাধনা করেন। তবে তিনি এও বুঝিয়ে দিলেন, মেলায় ঠগ বাবাদের জন্য ভিক্ষে ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
advertisement
বাবুঘাটের মেলায় দেখা গেল এক সাধুকে। তাঁর নাম আব্দুল। মানসিক চঞ্চলতা থেকে শুরু করে সুগারের কবচ, অন্য কেউ বান মেরেছে বলে শরীরটা শুকিয়ে যাচ্ছে, সমস্ত কিছু মুশকিল আসানের উপাদান তাঁর কাছে আছে। কখনো জল পোড়া খাওয়াচ্ছেন, কখনোবা মাদুলি দিচ্ছেন। মুহুর্তের মধ্যে এক একজন দুশ থেকে হাজার টাকা অবধি দুহাতে বাড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁর দিকে।
কারো রাহু, কারও আবার শনি, কেতু ইত্যাদি গ্রহ খারাপ। সাধু বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হল, কেতু সৌরমণ্ডলের কোথায় অবস্থান করে? উনি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হাতে চিমটি কেটে বললেন, 'ব্যবসার সময় এসব করবেন না। তা হলে খদ্দেররা সবাই পালিয়ে যাবে। আপনি চলে যান।আমার পেটে লাথি মারবেন না।'
আরও পড়ুন- সদ্যোজাত ছেলেকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন জামাই! বর্বরোচিত ঘটনা দেগঙ্গায়
বুজরুকির মেলা, সেটা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। অনেকে আবার ওখানে এসে বললেন, ' সাধু বাবা আগের বার এতো টাকা দিয়ে তাবিজ নিয়ে গেলাম। কোনো কাজ হয়নি।' তবে পুলিশ দেখলেই সাধুবাবা বেশ চঞ্চল হয়ে উঠছিলেন।