মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টায় ভোলবদল। আর তাতেই চটেছেন বাজি প্রস্তুতকারকরা। মঙ্গলবার বাজি পরীক্ষার পর ফোর এম এম সাইজের চকোলেট বোম পাশ করে দেয় রাজ্য দূর্ষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কিন্তু বৃহস্পতিবার-ই তা নাকচ করে দেন পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন , বাজির মাপ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে পারে। তাই শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হচ্ছে।
advertisement
পরিবেশমন্ত্রীর ঘোষণার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় ধড়পাকড়। বৃহস্পতিবার রাতেই বারুইপুরের চম্পাহাটি থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি-সহ একজনকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় প্রচুর শব্দবাজি। ছাড়পত্র পাওয়ার খবর পাওয়ার পরেই তৈরি করা হয়েছে চকোলেট বোমা। দাবি বাজি কারখানার শ্রমিকদের।
পুলিশ, প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আটকানো যায়নি চিনা শব্দবাজি। যত বাধা শুধু দেশিয় বাজি প্রস্ততুতকারকদের ক্ষেত্রে। অভিযোগ বাজি ব্যবসায়ীদের। তার মধ্যে এভাবে ৯০ ডেসিবেলের নীচে ছোট সাইজের চকোলেট বোম, দোদমার অনুমতি দিয়েও তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বেজায় চটেছেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে যাওয়া এই বাজির ভবিষ্যৎ কী? বাজারে আসা আটকাতে কী ভূমিকা নেবে পুলিশ ?
কড়া পুলিশি নজরদারি সত্ত্বেও চোরাগোপ্তা পথে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি আটকানো যায়নি। প্রতিবার কালীপুজো, দিওয়ালিতেই তা স্পষ্ট। এবার সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্ঘাতে চোরাবাজারে শব্দবাজির দাপট আরও বাড়ার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ।