দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর এর বাসিন্দা অশোক রুইদাস টাইফয়েড জ্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনা দক্ষিণ বারাসাতের একটি নার্সিংহোম এ ভর্তি ছিল গত ১৪ দিন ধরে। এদিন সকালে এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে আসলে অভিযোগ দীর্ঘক্ষণ ফেলে রেখে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে রেফার করা হয় সেখানেও একই চিত্র। সেখান থেকে ১০২ নং অ্যাম্বুলেন্স বুক করে রোগীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।অভিযোগ অ্যাম্বুলেন্সে কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল না। মেডিক্যাল কলেজে আনলে সেখানে এমার্জেন্সির বাইরে ট্রলির উপর পড়েছিল।কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখেই ভর্তির পরামর্শ দেয়। এরপর কাগজ তৈরি করতে করতে আরও ১০- ১৫ মিনিট চলে যায়, ততক্ষণে মারা যায় অশোক রুইদাস।
advertisement
কান্নায় ভেঙে পড়ে তার বাবা-মা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘক্ষণ দুটো হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় তাদের সন্তানকে অক্সিজেনের অভাবে মারা যায় তাদের সন্তান।এটার একপ্রকার জোর করেই সন্তানের দেহ নিয়ে তারা কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায় পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে আটকানোর চেষ্টা করা হলেও পরে হাল ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে মৃত অশোক রুইদাস করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানা যায়নি,ফলে যেভাবে তার মৃতদেহ নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে যাওয়া হলো যদি পজিটিভ হয় তবে আরও বহু মানুষের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই থাকছে।এর সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে রেফার রোগী ভুগে গত শনিবারই উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের মেধাবী ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভ্রজিত চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু একই প্রশ্ন তুলেছিল তার বাবা-মা অভিযোগ করেছিল কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ বেলঘড়িয়ার মিডল্যান্ড নার্সিংহোম, কলকাতা মেডিকেল কলেজ দীর্ঘক্ষণ ভর্তি না করায় তাদের সন্তানের মৃত্যু হয় এ নিয়ে তারা বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
ABHIJIT CHANDA