আড়ম্বর নেই, নেই জৌলুস তবুও স্কুলের বন্ধুত্বের টানে কেউ বাঁকুড়া থেকে ছুটে আসেন কেউ বা শহরতলী থেকে ছুটে আসেন। নিজেদের উদ্যোগে তাই এবার ৫জুন পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাঁশদ্রোণীতে ভিন্ন রকমের গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে দূষণ মুক্ত করতে চাইলেন তাঁরা। এদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক দেবমাল্য মাইতি, কলকাতা পুলিশে কর্মরত পলাশ পাল, কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত রাজু দত্ত, প্রসেনজিৎ নায়েক পেশায় শিক্ষক, মেডিক্যাল রিপ্রেসেন্টেটিভ সৌম্য সরকার দে সহ আরও অনেকে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ নাকতলা স্কুলের বন্ধু।
advertisement
আরও পড়ুন
Knowledge News: ফলে আঁশ নেই, তবুও নাম আঁশফল, english নাম বলতে মাথা চুলকাচ্ছেন ৯০% মানুষ
পুলিশকর্মী রাজু জানান," এই বন্ধুদের গ্রুপ স্কুল থেকে আলাপ।চাকরি পাওয়ার পর আমরা স্থির করি নিজেদের বাইরে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু সাহায্য করা। আর সেই থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। পরিবেশকে দূষণ মুক্ত রাখতে ১০টি গাছ লাগানো হয়েছে বাঁশদ্রোণী পার্ক এলাকায়। এর মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণচূড়া, রাধা চূড়া, সহ বিভিন্ন ফুলের গাছ। করোনা ভয়ানক রূপ সকলে দেখেছে। তাই পরিবেশকে সুস্থ রাখতে গাছ লাগানো খুব প্রয়োজন। পাস্টিক মুক্ত পরিবেশ, জঞ্জাল মুক্ত পরিবেশ, বিশুদ্ধ হাওয়া বাতাসের জন্য প্রয়োজন বৃক্ষরোপন। "রাজু জানিয়েছেন, এই গ্ৰুপটি আগে নর্থ বেঙ্গলে বন্ধ চা বাগান এলাকায় স্কুলের বাচ্চাদের বই খাতা বিনামূল্যে দিয়েছে। এমনকি সুন্দরবন এলাকায় যেখানে বেশিরভাগ ব্যক্তিকে বাঘে খেয়ে নিয়েছে সেই সব প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে বাচ্চাদের বই খাতা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রতি বছর ৩১ডিসেম্বর রাতে কম্বল বিতরণ করেন শহর কলকাতার রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, যাদবপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতবাসীদের। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক প্রসেনজিৎ নায়েক জানান, " আমাদের অঙ্গীকার এই গ্রুপটি সকলেই নাকতোলা স্কুলের ৯৬ ব্যাচের। এটা আমাদের স্বপ্ন। আমরা ভেবেছিলাম ভবিষ্যত প্রজন্মকে কিছু ফিরিয়ে দেই। গাছ লাগিয়ে আমরা সেটা করছি।জনকল্যানে জন্য আমরা প্রস্তত। "সব মিলিয়ে বলা যায় এই গ্রুপের প্রত্যেকেই ব্যস্ত। কিন্তু সময় পেলেই তাঁরা নেমে পড়েন কোমর বেঁধে সমাজ সেবার কাজে। যার যেটুকু আছে সেটা দিয়েই সাধারণ ব্যক্তিদের সাহায্য করা টাই তাঁদের লক্ষ্য।