বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে তারা জানতে পারে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে ও ভুয়ো IP অ্যাড্রেস ব্যবহার করে প্রতারণার ছক তৈরি করা হয়েছে। এসএমএস এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও মেলে সাইবার অফিসারদের। বেশ কিছু জায়গায় একই পদ্ধতি ব্যবহার করে সাইবার থানার অফিসার নিশ্চিত হয় এখানেই প্রতারণার ছক করছেন কোনও এক ব্যক্তি। বেশ কিছু ব্যাঙ্কে তথ্য দেখেও জানা যায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মকরে আবহাওয়ার তুমুল বদল? কেমন থাকবে কলকাতা সহ বাকি রাজ্য, বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
তদন্তকারী অফিসার বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে জানতে পারেন ঝাড়খণ্ডে বসে কোন ব্যক্তি বা একটি বড় দল এই ফাঁদ পেতেছেন। ঝাড়খণ্ডের কাদমা থানা এলাকায় কলকাতা পুলিশের সাইবার অফিসার পৌঁছায় আগেই, বুধবার তরুন নায়েক নামে এক যুবকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা। অভিযুক্তের নাগাল পেতেই তদন্তকারী অফিসার উদ্ধার করে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক নথি ও ভুয়ো নথি যা ব্যবহার হয়েছিল ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলার সময়। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজত নিয়ে তদন্তকারী অফিসার জানতে চায় ঝাড়খণ্ডের এই যুবক ছাড়াও কে কে এই চক্রে জরিত, তাদের প্রতারণা ছক কতদূর পর্যন্ত তৈরি ছিল?
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে? এক 'ফিডব্যাকের' উপরই নির্ভর করছে সব! মাস্টারস্ট্রোকের অপেক্ষা
একাধিক তথ্যের সন্ধানে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানা। যদিও তদন্তকারীদের অনুমান, ঝাড়খণ্ডের এই যুবকের কাছ থেকে তার চক্রের সন্ধান মিললে নেপথ্যে থাকা বড় মাথার নাগাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে লালবাজার। যদিও অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডের হলেও এই রাজ্য থেকেই প্রতারণার ছক তৈরি করা হয়েছিল বলে সাইবার অফিসারদের সন্দেহ। যদিও তদন্তকারীরা একপ্রকার নিশ্চিত যে এই ভুয়ো ওয়েবসাইট খোলার একমাত্র কারন আর্থিক প্রতারণা কিন্তু কে বা কারা এই উদ্ধার হওয়া ভুয়ো নথি দিয়ে সাহায্য করত তাও জানতে চায় বিশদে তদন্তকারী অফিসার।