দিন কয়েক আগে সোহিনীর বছর তিরিশের এক বন্ধু করোনায় আক্রান্ত হন। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে, হেল্পলাইনে চেষ্টা করেও প্লাজমার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আশেপাশের নানা জায়গাতেও খোঁজ চালান সোহিনী। শেষমেশ পরিত্রাতা হয়ে উঠল ডেটিং অ্যাপ Tinder। একটি ট্যুইট করে পুরো ঘটনাটি সবিস্তারে জানান সোহিনী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এই রকম কঠিন সময়ে দারুণ একটা ঘটনা ঘটল। ডেটিং সাইটে কেউ অবশ্য প্লাজমা ডোনার খোঁজে না। তবে এমন কাউকে খুঁজে পেয়ে সত্যিই ভালো লাগছে। আপাতত ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে বন্ধু। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে আর প্লাজমার প্রয়োজন পড়বে না। সত্যি বলতে অনেকেই এই ডেটিং অ্যাপের বায়োতে প্লাজমা ডোনেশনের কথা লিখেছেন। যা প্রশংসার দাবি রাখে। সোহিনীর ক্যাপশনটিও বেশ মজাদার ছিল। শেষে লেখা রয়েছে "Dating app 1, govt 0"।
advertisement
প্রসঙ্গত, প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে মারণ ভাইরাস থেকে সদ্য সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের শরীর থেকে প্লাজমা নেওয়া হয়। পরে তা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। এর জেরে অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা রোগীর শরীরে গিয়ে সংক্রমণ দূর করে। তবে প্লাজমার সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ সোহিনীর মতোই সমস্যায় পড়েছেন। আর অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক জায়গায় প্লাজমার ঘাটতি চোখে পড়ার মতো। গত সপ্তাহেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) প্লাজমা ঘাটতির কথা জানিয়েছিলেন।
বলা বাহুল্য, বুধবার ফের রেকর্ড সংক্রমণের সাক্ষী থাকল দেশ। দেশে একদিনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৯৫,০৪১। মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২০২৩ জনের। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১.২৩ লক্ষ। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১.৬৭ লক্ষ। এ নিয়ে টানা সাতদিন ২ লক্ষের উপর সংক্রমণ দেখা গেল। পুরো দেশ আতঙ্কে ভুগছে।