বছর দুয়েক আগে পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ রীতিমতো খাদ্য ভেজালকারীদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল। যার ফলে প্রচুর মশলা পেশাইয়ের কারবারী কলকাতা ছেড়ে জেলা গুলোতে পাড়ি দিয়েছিলেন। বর্তমানে গোটা হলুদের কেজি পাইকারি দরে ২১০ থেকে ২১৫ টাকা পাওয়া যায়। সেখানে ১৩০-১৪০টাকায় গুঁড়ো হলুদ পাওয়া যাচ্ছে।একই ভাবে গোটা জিরের যা দাম, তার থেকে অন্তত পক্ষে দেড়শো টাকা কমে গুঁড়ো জিরে পাওয়া যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ভয় পাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’! কারণ কী? বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
অন্যদিকে গুঁড়ো লঙ্কা ঠিক একই উপায়ে পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতার বড় বাজারে পাইকারি মশলা বিক্রেতাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা এক কথায় জানান, ‘দাদা কাস্টমার যদি এসে কম দামে মশলা চায়, তাহলে কি করব? আমাদের বিক্রি তো করতে হবে!’ তারা এও জানিয়ে দেয়, এই সমস্ত গুঁড়ো মশলা ছোটখাটো হোটেল এবং ফুটপাতের হোটেল, রেস্টুরেন্ট গুলোতে যায়। ব্যবসায়ীরা এমনও বলে দেয় যে যদি ওই কম দামের গরম মশলা নিয়ে ব্যবসা করে।
আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’, কাজের খতিয়ান বাড়ি বাড়ি তুলে ধরতে চায় তৃণমূল
তাহলে সে সহজেই ব্যবসায় দাঁড়িয়ে যেতে পারবে। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ভেজাল মশলা খেলে মানুষ সঠিক খাদ্যগুণ থেকে যেরকম বঞ্চিত থাকছে।সঙ্গে ক্যান্সারের মত দুরারোগ্যে আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া পেটের সমস্যা থেকে আরম্ভ করে,স্নায়ুর সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। অতি সত্বর এগুলো বন্ধ করা উচিত।’ ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের যে ক্ষতি করছে,সেটা ভয়ঙ্কর থেকে অতি ভয়ঙ্কর।