ফুটপাথ জুড়ে আধপোড়া জিনিসপত্রের ডাঁই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে জামাকাপড়, বাসনপত্র, প্লাস্টিকের সামগ্রী। পোড়াবাড়ির ছাইচাপা কোণ থেকে এখনও ভেসে আসছে সাদা-কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। জল ছিটিয়ে তা নেভাতে ব্যস্ত দমকলের একটি ইঞ্জিন। সপ্তাহের শুরুটা অন্যভাবে হল গড়িয়াহাট মোড়ের গুরুদাস ম্যানসনের। শনিবার রাতের আগুন যার থেকে কেড়ে নিয়েছে তিন দশকের শোভা। দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্রের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক এখন আক্ষরিক অর্থেই পোড়োবাড়ি। এদিন সকালে ঘরে ঢুকে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না আবাসিকরা। কোথায় থাকব? কোথায় যাব? সেই চিন্তাই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে বিধ্বস্ত আবাসিকদের।
advertisement
আরও পড়ুনগড়িয়াহাটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দিন কয়েক আগেই একটি বাড়িতে নতুন রঙের প্রলেপ পড়েছিল। এখন দেখে তা বোঝার উপায় নেই। আগুনের গ্রাসে পড়েছিল বহুতলের নামী বিপণিগুলি। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কয়েক কোটি টাকার বেনারসি, জামদানী, কাঞ্জিভরম। ভবিষ্যতের চিন্তায় মাথায় হাত সেই বিপণীর কর্মচারীদের। জনপ্রিয় সেই ল্যান্ডমার্কটা আর নেই। নেই বিয়ের বিকিকিনির অন্যতম সেই গন্তব্যটা। গড়িয়াহাট মোড় এখন শুধুই মন খারাপ করা নস্ট্যালজিয়া।