ক্ষমতায় এসে দুষ্কৃতীরাজ নিয়ন্ত্রণে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে এনকাউন্টারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খতম করতেও এনকাউন্টারের অভিযোগ। একের পর এক এনকাউন্টারে অস্বস্তি বাড়ছে যোগী সরকারের। একাধিক মামলা ঝুলছে সুপ্রিম কোর্টেও।
এবার সেই উত্তরপ্রদেশ মডেল রাজ্যেও প্রয়োগের হুমকি বিজেপি নেতাদের। বাঁকুড়ায় রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় আর বসিরহাটে সায়ন্তন বসুর কথায় সেই হুমকি। এদিন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, হয় গ্রেফতার, নয় এনকাউন্টার ৷ উত্তরপ্রদেশ মডেল হবে এরাজ্যেও ৷ অপরাধীদের আর সুযোগ নয় ৷
advertisement
বিজেপি নেতাদের এনকাউন্টার হুমকির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। বাম-কংগ্রেস নেতারা আবার কাঠগড়ায় তুলছেন তৃণমূল ও বিজেপি, দুই পক্ষকেই। সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এনকাউন্টারের রাজনীতি সমর্থন করি না ৷ তৃণমূলের পথেই চলার চেষ্টা বিজেপির ৷ সেই একইসুরে কংগ্রেস নেতা মান্নানের বক্তব্য, এনকাউন্টারের রাজনীতি কাম্য নয় ৷
ভোটের ফল বেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক হিংসা থামছে না রাজ্যে। মৃত্যুও হচ্ছে। তারমধ্যে বিজেপি নেতাদের এনকাউন্টার হুমকি আগুনে ঘি ঢালবে বলেই আশঙ্কা আমজনতার। তাঁদের প্রশ্ন, এনিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালে রাজনৈতিক দলগুলো কি দায় নেবে?