সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, নয়া ল্যাবরেটরিটি পুরোদমে কাজ শুরু করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলির জন্য আর শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি বা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত কল্যাণী জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবের নির্ভর করতে হবে না ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগীর উপস্থিতিতে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই গবেষণাগারের উদ্বোধন করা হয় ৷
advertisement
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের নিজস্ব কোনও জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি ছিল না ৷ উল্লেখ্য, যেকোনও জীবের বংশগতি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমেই জানা যায় ৷ ডিএনএ এবং রক্তজনিত বিভিন্ন অসুখ নির্ণয় করা জন্যও এই পরীক্ষা করা হয় ৷ করোনাকালে এর চাহিদা ছিল ব্যাপক ৷ বিশেষ করে ওমিক্রনের সময় চিকিৎসকরা জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার উপর জোর দেন ৷ সেই সময় পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে অনেক সময় লেগে যেত ৷ আশা করা হচ্ছে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নয়া জিনোম সিকোয়েন্স ল্যাবরেটরি খোলায় এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই মিটবে ৷
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নজরে নদিয়া, রানাঘাটে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা অ্যাডভান্সড ল্যাবে হয় ৷ আমাদের এখানে সেই ল্যাবেরই উদ্বোধন করা হল ৷ কল্যাণীতে এই পরিকাঠামো রয়েছে ৷ তবে সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন ৷ রাজ্য সরকারের অধীনে এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম ৷’’
আপাতত এখানে যে পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে একদিনে সর্বাধিক চারজনের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করানো যাবে ৷ কিন্তু, এখনই সাধারণ মানুষ এই পরিষেবা পাবেন না ৷ আপাতত 'ট্রায়াল' হিসাবে পরপর ১০০ থেকে ১৫০ জনের জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করানো হবে ৷ তারপর সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে পুণের ন্যাশনাল ভাইরোলজিতে ৷ তারা সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সবুজ সংকেত দিলেই তার ভিত্তিতে অনুমোদন দেবে ইনসাকগ ৷ আর তারপরই আমজনতা এই পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবেন ৷ নিয়ম অনুসারে, পরীক্ষার সাতদিন পরই পাওয়া যাবে রিপোর্ট ৷