শীতের মরসুমে যেমন পর্যটকদের জন্য মিলেনিয়াম পার্ক অবশ্যই খোলা প্রয়োজন তেমনি মিলিনিয়াম পার্ক অবিলম্বে খোলার জন্য প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষেরও আরও একটি প্রয়োজন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বলেছেন, গঙ্গার পাড়জুড়ে বেনারসের স্টাইলে নিয়মিত গঙ্গা আরতি করা হবে। কোন্নগরের একটি ঘাটে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গঙ্গরতি। কিন্তু, রাজ্যের অন্যান্য আরও জায়গায় নিয়মিত আরতির জন্য বিশেষ জায়গা খুঁজছে প্রশাসন। হিমশিমও খাচ্ছে। এবার গঙ্গা আরতি করার আদর্শ জায়গা হিসাবে প্রশাসনের নজরে এসেছে মিলেনিয়াম পার্ক।
advertisement
করোনার সময় প্রায় দীর্ঘ দু'বছর বন্ধ ছিল মিলেনিয়াম পার্ক। মাঝে মাস তিনেকের জন্য খুললেও পরে বন্ধ হয়ে যায়। কেএমডিএ-র অধীনে থাকা সেই পার্কের দেখাশোনা ও টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল চারঘাট ক্লাসিক ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। গতবছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্ক খোলা ছিল। যতদূর জানা যাচ্ছে, সেই সময়ের টিকিট বিক্রির টাকা কেএমডিএর হাতে দেয়নি ওই সংস্থা। কেএমডিএর তরফে প্রশাসনিকভাবে অভ্যন্তরীণ তদন্তও করা হয়েছিল এই নিয়ে।
অন্যদিকে, দীর্ঘ সময় পার্ক বন্ধ থাকায় অসহায় হয়ে পড়েন কর্মীরা। বর্তমানে ওই বেসরকারি সংস্থার অধীনে মিলেনিয়াম পার্কে ৩০ জনেরও বেশি কর্মী তাজ করেন। অভিযোগ, তাঁদের প্রাপ্য বেতন না দিয়েই উধাও হয়ে গিয়েছে ওই সংস্থা।
আজ কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং কেএমডিএর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম পুরসভার আধিকারিক ও কেএমডিএর আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে মিলেনিয়াম পার্ক পরিদর্শনে যান। মিলেনিয়াম পার্কের হাল হকিকত সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। গঙ্গা পাড়ের দিকটিতেও যান ফিরহাদ।
পরে সাংবাদিকদের ফিরহাদ হাকিম জানান, যত দ্রুত সম্ভব এই পার্ক খোলার ব্যবস্থা করা হবে। সাধারণ মানুষ যাতে এই পার্কে এসে গঙ্গার দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন এবং শহরের অন্যতম পর্যটন স্পট ঘুরতে পারেন তা ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
পুরসভার সূত্রে খবর, খুব শিগগিরই কেএমডিএ -এর অধীনে থাকা এই পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার হাতে আসতে চলেছে। তারপর পুরসভার তরফ থেকেই এই পার্ক নতুনভাবে খোলা হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আট দশ দিনের মধ্যেই পার্ক খোলার উপযুক্ত তৈরি করা হবে। তারপরই খোলা হবে মিলেনিয়াম পার্ক।"