এদিন তিনি বলেন, ''হরিদেবপুরের এই মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনায় মর্মাহত আমরা। সব রকম ভাবে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াব। আজ পুরসভার গাড়ি থেকে আরম্ভ করে সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করব। কার দায়, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। তবে যারাই এই ঘটনায় দায়ী, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।''
আরও পড়ুন: মদ খেয়ে ঘরে ঢুকল জামাই, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রইল শ্বশুর-শাশুড়ি! শান্তিপুরে হাড়হিম ঘটনা
advertisement
শুধু তাই নয়, ফিরহাদ বলেন, ''পুরসভা নয়, তৃতীয় কোন সংস্থা দিয়ে, যেমন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা যারা এই ইলেকট্রিফিকেশন নিয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের দিয়ে তদন্ত করা উচিত।''
স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই এখানে জল জমে। এক মহিলার দাবি, তার ছেলেও ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে টের পেয়েছিল যে জলে বিদ্যুৎ রয়েছে। কিন্তু পোস্টে হাত দেয়নি সে। না হলে সেও আর বাঁচত না। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ ক্ষণ জলে পড়েছিল ছেলেটি। ভয়ে কেউ তোলেনি তাকে। পুরসভার আলো বিভাগ এবং সিইএসসি ঘটনাস্থলে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, জলে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। একটি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। সম্ভবত সেখান থেকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। পুলিশ তা সংগ্রহ করেছে। কী ভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হরিদেবপুরের কিশোরের মৃত্যুতে দায় কার, প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
