কক্ষের ওই সারিতে ছয়টি আসন থাকলেও প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক ডানদিকে একটি আসন সবসময়ই ফাঁকা রাখা ছিল, এ বারও তাই থাকছে। তার পরই ফিরহাদ বসবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে পার্থর শূন্য আসনটিতে শোভনদেবকে বসতে প্রস্তাব দেন স্পিকার। কারণ, পরিষদীয় কাজকর্মের প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও দলীয় সিদ্ধান্ত কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত নেত্রীর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন পরিষদীয় মন্ত্রীর ।
advertisement
আরও পড়ুন : মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে পুলিশের গাড়িতে পুলিশ, নাহলে তৃণমূলের কর্মীরাই আগুন লাগিয়েছে... দাবি শুভেন্দুর
কিন্তু বার বার ওঠা ও বাইরে যাতায়াতের জন্য ডানদিকের প্রান্তিক আসনের সুবিধা নিতেই স্পিকারের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি কৃষিমন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আসন পুরমন্ত্রীকে দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের ঠিক পাশে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘরটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘তালাবন্ধ’ই থাকছে। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, যেহেতু ইডি-র মামলায় পার্থ এখন জেলে তাই তদন্তের স্বার্থে যদি ওই ঘরে কখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা তল্লাশি চালাতে চান, তাই আইনি জটিলতা এড়াতে অবলম্বন করে ‘সিল’ করে রাখা হল।
আরও পড়ুন : রাজ্যপালের অনুমোদনেই উপাচার্য নিয়োগ, জটিল থেকে সহজ হল উপাচার্য নিয়োগের পথ রাজ্যের কাছে? জল্পনা
অধিবেশন শুরুর আগে কোভিড নিয়ে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে গত দু'দিন ধরে বিধানসভায় বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে পরিবর্তনের পর এই প্রথম পার্থ চট্টোপাধ্যায়হীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ থেকে। তিনটি নতুন বিল যেমন আনা হবে তেমনই শিক্ষক নিয়োগ বিতর্ক ইস্যুতে তপ্ত হতে পারে চলতি অধিবেশন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘর ‘বন্ধ’ থাকলেও এ বার অধিবেশনের আগেই অন্তত ১২ জন মন্ত্রীর বিধানসভায় ঠিকানা নতুন করে চিহ্নিত হচ্ছে। কয়েকজন পুরনো মন্ত্রীর ঠিকানা যেমন বদল হচ্ছে তেমনই নতুন মন্ত্রীদের ঘর বরাদ্দ করেছেন স্পিকার।