শনিবার কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ''তদন্তে কোনও ভয় পাচ্ছি না। কিন্তু সবার সামাজিক সম্মান আছে। সেই সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করলে সবার ভয় লাগে। জেলে থাকতে কোনও ভয় নেই। তার কারণ আমাদের অনেক নেতা বাংলার তাঁরা জেলে ছিলেন। জেলে থাকতে ভয় নেই। কিন্তু সামাজিক সম্মান যেভাবে টেনে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। যেভাবে কেউ কেউ ক্যাঙারু কোর্ট বসিয়ে দেয়। যেটা চিফ জাস্টিস অব ইন্ডিয়া বলছেন। এটা আমার কথা নয়, সেই সম্মানটা যাওয়ার ভয় সবার থাকে।"
advertisement
আরও পড়ুন: তালিকা তৈরি, এবার গরুপাচারে 'জড়িত' পুলিশকর্মীদের ডাক পড়বে! অনুব্রতকে ঘিরছে সিবিআই
তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার পরেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, তবে কি ভয় পেয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতারা? শনিবার ফিরহাদ জানালেন, জেলে যেতে তাঁরা ভয় পান না। সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানির ভয় পান। তাই ন্যায়বিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। শনিবার ফিরহাদ বলেন, ''আমরা নিশ্চিত ভাবে হাই কোর্টে গিয়েছি। তার কারণ আমরা বিশ্বাস করি, যদি দেখি বিচারব্যবস্থা আমার সঙ্গে ন্যায়বিচার করছে না, তা হলে আমি তার কাছেই সেটা চাইতে যাব। ন্যায়বিচার পাচ্ছি না মনে হলে আমি আদালতের কাছেই আবেদন করব। না হলে আমরা কোথায় যাব? এর বিরুদ্ধে তো আমরা মিছিল করতে পারব না।''
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ, কলকাতার কড়া নিরাপত্তায় একাধিক নাকা চেকিং
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ সিপিএমের কথাও তুলে আনেন। তিনি বলেন, ''আমি তো বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব না, যেমন সিপিএম করেছিল ‘লালা বাংলা ছেড়ে পালা’।'' একই সঙ্গে এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের মাথা ঠান্ডা রাখার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, "কিছুদিন ধরে আমার বিরোধী বন্ধুরা অসভ্যতা করছে। সবার একটা সামাজিক সম্মান আছে। মনে রাখতে হবে কেউ টেবিলের এপারে কখনও ওপারে। তৃণমূলের সবাই খারাপ এমনটা নয়।"
এর পরেই ফিরহাদ বলেন, ''আমি বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, গুলির সামনে বার বার দাঁড়িয়েছি, নন্দীগ্রামে লড়াই করেছি, সিঙ্গুরে আন্দোলন করেছি, ২১ জুলাই আন্দোলন করেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সব জায়গায়। কেশপুর গিয়েছি, চমকাইতলা গিয়েছি, যেখান থেকে বেঁচে ফিরে আসার কথা ছিল না। কিন্তু তাতেও ভয় পাইনি, কারণ সেখানে সামাজিক সম্মানহানি হওয়ার বিষয় ছিল না। একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু সামাজিক সম্মান যাওয়ার ভয় সবার থাকে। আর সেই সামাজিক সম্মান গেলে আপনার বাড়ির লোক ভুক্তভোগী হয়। সমাজ দায় ভোগ করে।''