এদিনের মঞ্চ থেকে নাম না করে নারদা প্রসঙ্গও তোলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি নিশানা করে তাঁর তোপ, ‘‘যে কেসে আমি গ্রেফতার হয়েছি। সেই কেসে ইডি, সিবিআইয়ের ক্ষমতা নেই শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করার। তাই এই কেসে কিছু হবে না। ক্লাবকে দিল টাকা, জেলে গেলাম আমি। আর শুভেন্দু নিল হাতে টাকা, কেস খেলাম আমি।’’
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়ে নেওয়া হল ফিরহাদের ফোন, আইনজীবীদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা, আটকানো হল মেয়েকেও
তবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা টেনে এনে তাঁর স্পষ্ট বার্তাও দিতে দেখা যায় ফিরহাদকে৷ বলেন, ‘‘ব্রাত্যর আগে যিনি ছিলেন তিনি অত্যন্ত অন্যায় করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জিরো টলারেন্স নেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে আমাকেও সরাবে। দল জিরো টলারেন্স নিয়েছে।’’
১০০ দিনের কাজের বকেয়া আদায়ের দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলন করছে তৃণমূল৷ দিল্লির ধর্নার পরে রাজভবন চলো অভিযান৷ তার পরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দেখা না পেয়ে রাজভবনের সামনেই ধর্নামঞ্চ বেঁধে অবস্থান৷ সেই অবস্থান কর্মসূচি সোমবার ৬ দিনে পড়েছে৷ সোমবার অবশ্য তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল৷
পুর দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে রবিবার ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ির সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিয়েছিল সিবিআই৷ সকাল ৯ টা থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টা পুরমন্ত্রীর বাড়িতে চলেছিল তল্লাশি৷ ঢুকতে দেওয়া হয়নি আইনজীবীদেরও৷ এমনকি, মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিমকেও বাড়িতে ঢুকতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল৷ মন্ত্রীর গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা৷
আরও পড়ুন: বড় বিপাকে মদন! তল্লাশির পাশাপাশি চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতেও CBI
সেই ঘটনার পরে সন্ধেবেলা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেকই জানিয়েছিলেন, সোমবার ধর্নামঞ্চে যোগ দেবেন ফিরহাদ৷ যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঠেকেছিল রাজনীতির কারবারিদের কাছে৷ এদিন পূর্ব ঘোষণা মতো আন্দোলন মঞ্চে এলেন ফিরহাদ৷ শুধু তা-ই নয়, মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতাও করলেন৷