এ দিন বন্দর এলাকার গার্ডেনরিচের বাসিন্দা নাসির খানের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট৷ ওই ব্যবসায়ীর ছেলে আমির খানের বিরুদ্ধেই অনলাইন গেমিং অ্যাপ খুলে প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে৷ নাসির খান নামে ওই ব্যক্তির পরিবহণ ব্যবসা রয়েছে৷ এই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠতার জল্পনা ছড়ায়৷ কারণ ফিরহাদ কয়েকদিন আগে পর্যন্ত পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন, তার উপরে তিনি ওই এলাকার বিধায়ক৷
advertisement
আরও পড়ুন: শহরে আবার টাকার পাহাড়, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার ৭ কোটি, চলছে টাকা গোনা
যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ফিরহাদ এ দিন বলেন, 'আমার মনে হয়, বাংলার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতেই এই আতঙ্কের পরিবেশ ৈতরি করা হচ্ছে৷ এত অভিযান চলছে৷ যেখানে টাকা উদ্ধার হচ্ছে, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে, সেখানে ঠিক আছে৷ কিন্তু তা বাদ দিয়ে এত অভিযান করে ব্যবসায়ীদের বার্তা হচ্ছে, বাংলায় ব্যবসা বিনিয়োগ করতে যেও না৷ এই কারণেই চোদ্দ হাজার ব্যবসায়ী ভারত ছেড়ে বিদেশে চলে গিয়েছেন৷ এটা বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত বলেই আমার মনে হচ্ছে৷' তাঁর বিধানসভা এলাকার ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে তার জবাবদিহি করতেও রাজি হননি পুরমন্ত্রী৷
যদিও ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করতে ছাড়েননি বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর কটাক্ষ, 'ইডি- সিবিআই যত তৎপর হচ্ছে, তত টাকা উদ্ধার হচ্ছে৷ এতে ওনার এতো সমস্যা কীসের? এই টাকায় কি ওনার পার্টির, ওনার ভাগ আছে?' একই সুরে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও৷ তাঁরও কটাক্ষ, 'যত বড় নেতা, তত বড় চোর৷ শোনা যাচ্ছে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে নাকি প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর যোগ ছিল৷'