হোটেল থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ এদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন হোটেলের ছাদে৷ সাত জনকে হোটেলের বিভিন্ন ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়৷
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মেছুয়া বাজার এলাকার বহু পুরনো এই হোটেলটিতে আগুন লাগে৷ হোটেলে তিন থেকে ছতলা পর্যন্ত আবাসিকদের থাকার ঘর ছিল৷ দোতলায় ছিল রেস্তোরাঁ৷ অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলের বহু ঘরেই আবাসিকরা ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ভিনরাজ্যের বাসিন্দারাও ছিলেন৷ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷
advertisement
২০১০ সালে পার্ক স্ট্রিটে স্টিফেন কোর্ট এবং ২০১১ সালে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর শহরে বড় একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও একসঙ্গে এত প্রাণহানি ঘটেনি৷
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে দিঘা থেকে ফোন করে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর নির্দেশেই ঘটনাস্থলে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা, মন্ত্রী শশী পাঁজারা৷ কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যে এত বড় আকার নেবে, তা তখনও আঁচ করা যায়নি৷ দমকলের ১০টি ইঞ্জিন প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে৷ হাইড্রলিক মই এনে ছাদ থেকেও উদ্ধার করা হয় অনেককে৷ কিন্তু আগুন অল্প সময়ে ভয়াবহ আকার নেওয়ায় ঘরে থাকা অনেকেই বেরিয়ে আসতে পারেননি৷ জীবন্ত দগ্ধ হন তাঁরা৷