প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এদিনও ফুড ডেলিভারি কর্মী রাণার স্কুটির ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকেই প্রথমে শর্ট সার্কিট হয়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাণা ওই সময়ে উপরের ঘরে শুয়ে ছিল। সবাই বেড়িয়ে পড়লেও রাণা আটকে পড়ে। সেই সময় একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে থাকে। আর এই আগুনেই গুরুতর আহত হন রাণা। শেষ পর্যন্ত দোতলার ছাদ থেকে ঝাপ দিয়ে নিচে নামে।
advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাড়ে পাচটা নাগাদ রাণা নস্করের মা রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। বাসন ধোয়ার জন্য তিনি ঘর থেকে বের হন। সে সময় বিকট শব্দে সিলিন্ডার ফেটে যায় । সে সময় ঘরে ছিলেন রাণা লস্করের বোন এবং তার বোনঝি ঘরের মধ্যেই ছিলেন। রানা তখন দোতালার ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। আগুন হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়ার আগেই রানার বোন তার কন্যাকে নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারলেও রানা বেরোতে পারেনি। পরে তাকে কোনওভাবে উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে দমকল এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। তবে এর মধ্যেই পুড়ে গিয়ে গিয়েছে প্রায় দশটি ঘর। ফায়ার পকেট থেকে যাতে পুনরায় আগুন লাগতে না পারে সেই জন্য জল দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে৷ কিছুক্ষণ আগে রানা নস্কর কে বাঙ্গুর থেকে পিজি হসপিটালে ট্রান্সফার করা হয়েছে বলে দাবি করছেন তার প্রতিবেশীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে কাউন্সিলর এসে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন৷
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে কাউন্সিলর এসে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন৷ ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর মৌসুমী দাস বাঙুর হাসপাতালে এসেছেন। তিনি এই মুহূর্তে হাসপাতালের আধিকারিক এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছেন। যা যা ব্যবস্থা করা দরকার সব করা হবে, যাতে দ্রুত ওকে সুস্থ করা যায়। বর্তমানে যার বাড়ি পুড়ে গিয়েছে বা যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই নিয়ে বলেছেন। কাউন্সিলরের দেরি করে আশা নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ নিয়ে বলেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘর বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।