আরজি কর হাসপাতালের এসএনসিইউ বা স্পেশ্যাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট-এর মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত ওই চিকিৎসক বসিরহাটের বাসিন্দা ছিলেন৷ কিন্তু বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে মধ্যমগ্রামের একটি অভিজাত আবাসনে থাকতেন তিনি৷
সূত্রের খবর, রবিবার রাতেই তিনি বারাসতের একটি মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে৷ রবিবার রাতেই তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হার্ট রেট কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি ওষুধ খেতেন ওই চিকিৎসক। রবিবার রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে মধ্যমগ্রামের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওষুধের অধিক মাত্রার কারণেই শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই চিকিৎসকের। সূত্রের খবর, গতকাল ওই চিকিৎসক চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি অ্যান্টি কোলেস্টেরল ড্রাগ বা হৃদরোগ ঠেকানোর ওষুধ খান বলেও খবর৷ এর পরেই তাঁর অবস্থার অবনতি হয়৷
advertisement
চিকিৎসকের এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ওই চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়৷ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
যদিও মৃত চিকিৎসকের পরিবার ওষুধের ওভারডোজ অথবা বিষক্রিয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ৷ মৃত চিকিৎসকের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানান, ‘কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে আমরা এখন বুঝতে পারছি না। শুভজিতের মতো ছেলে যে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে, সেটা আমাদের কাছে এখনও বিশ্বাসযোগ্য নয়। ও যেখানেই চেম্বার করত, কোনও সমস্যা হতো না। আরজি করার সময় একটু ডিউটির চাপ থাকে, কিন্তু সেটা কোনও বিষয়ই নয়।’
শুভজিৎ আচার্য নামে ওই চিকিৎসকের স্ত্রীও একজন দন্ত বিশেষজ্ঞ৷ বর্তমানে তিনি সন্তানসম্ভবাও৷ মৃত চিকিৎসকের বাবা শ্যামলকুমার আচার্যও দাবি করেন, তাঁর ছেলে এবং পুত্রবধূর মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না৷ তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না এরকম ঘটনা কেন ঘটল। হয়তো মানসিক দিক দিয়ে কোনও একটি চাপ ছিল ৷’
