প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই পরীক্ষার্থী পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। গোটা বিষয়টি বিধাননগর কমিশনারেটকে লিখিতভাবে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের আধিকারিকদের অনুমান, এর পিছনে কোনও চক্র থাকতে পারে। তার জন্যই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চাইছে গোটা বিষয়টির তদন্ত হোক। ইতিমধ্যেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপর্যয়ের পুলিশের আধিকারিকরাও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ওই পরীক্ষার্থীকে। পর্ষদের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, এবারের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার জন্য একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার জেরেই এই ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়ল।
advertisement
ইতিমধ্যেই চতুর্থ পর্যায়ের ইন্টারভিউ শেষ হচ্ছে শনিবার। আগামী সপ্তাহ থেকে পঞ্চম পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার কথা। আগামী সপ্তাহ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে পঞ্চম পর্যায়ে ইন্টারভিউ। মোট ছ'টি জেলার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন তাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে এই পঞ্চম পর্যায়ে। প্রাথমিকের টেটের অ্যাডমিট কার্ড নিয়েও একাধিক অভিযোগ এসেছিল পর্ষদে। তার জেরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিভিন্ন সময় পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে একের পর এক বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিল। বিশেষত টেট এর অ্যাডমিট কার্ডে ভিন্ন ঠিকানা এবং ভিন্ন নামে অ্যাডমিট কার্ড এসেছিল। যার জেরে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল পর্ষদ। কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিতও করেছিল পর্ষদ। কিন্তু এবার নিয়োগের ইন্টারভিউতেও এরকম ভুয়ো পরীক্ষার্থী চলে আসায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পর্ষদের আধিকারিকরা। ইন্টারভিউয়ের জন্য ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা করেছে পর্ষদ। শুধু তাই নয়, পরীক্ষকদের দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ যার মাধ্যমে পরীক্ষকরা সরাসরি অনলাইনে নম্বর পাঠিয়ে দেবেন পর্ষদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে। এর যেরে নম্বরে কারচুপি বা দ্বিতীয়বার নম্বর সংশোধনেরও সুযোগ থাকবে না।
SOMRAJ BANDOPADHYAY