টার্গেট বিদেশি ও প্রবীণ নাগরিকরা। কলকাতায় বসেই ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে প্রতারণা চক্র। কখনও বলা হচ্ছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সফটওয়ার আপডেট করতে হবে। না হলে কম্পিউটার খারাপ হয়ে যাবে। অথবা তথ্য উধাও হয়ে যাবে। ভয় দেখিয়ে হাতানো হচ্ছে কয়েকশো কোটি টাকা।
বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নামে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানির মত বিভিন্ন দেশে ফোন করা হচ্ছে। বিদেশি বয়স্ক নাগরিকদের ফোন করে অামেরিকান ইংলিশে কথা বলছে প্রতারকরা। জানা গিয়েছে, প্রতারকদের মোটা মাইনে দিয়ে রাখা হচ্ছে । ভয় পেয়ে অনেকেই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন, তবে কোনও পরিষেবাই মিলছে না !
advertisement
ওয়েবলের অফিস ভাড়া করে চলছিল ভুয়ো কল সেন্টার। ২০১৭-র জুনে ৮ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পয়লা ডিসেম্বরে ভুয়ো অ্যান্টি ভাইরাস বিক্রি চক্রের ৪ জন গ্রেফতার হয়।
সূত্রের খবর, ইন্টারপোলের মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই দেশগুলি। একটি ঘটনায় কলকাতায় আসে জার্মান পুলিশও। তা সত্ত্বেও চক্রের রমরমা বাড়ছে। কিছুক্ষেত্রে প্রতারকরা ইতিমধ্যেই জামিনও পেয়ে গিয়েছেন। এধরনের ঘটনায় দেশেরই ভাবমূর্তিতে ধাক্কা খাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে কেন পুলিশ ও সিআইডি সতর্ক হচ্ছে না?
আরও পড়ুন-বিজেপির রথযাত্রার অনুমোদন দিল না ডিভিশন বেঞ্চও, সমস্যা সমাধানে বৈঠকের নির্দেশ