প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরি প্রাপকের উচ্চ মাধ্যমিক স্কোর শূন্য দেখানো হয়েছে পর্ষদের নথিতে। আবার এক প্রশিক্ষণহীনের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ১০% নিচে নম্বর পেয়েও পেয়েছেন চাকরি! উত্তর দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় এমন নিয়োগ তথ্যে ফের কাঠগড়ায় পর্ষদ।পুরো প্যানেল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যোগ্য ও বঞ্চিত মামলাকারীরা। ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বমোট নম্বর ছিল ৫০। সর্বমোট ৫০ নম্বরের মধ্যে টেট স্কোর ০৫। মাধ্যমিক ০৫। উচ্চ মাধ্যমিক ১০। প্রশিক্ষণের বরাদ্দ ১৫। অ্যাপটিটিউড টেস্ট ০৫। ইন্টারভিউ ০৫। এক্সট্রা কারিকুলর অ্যাক্টিভিটিস ০৫। ধরুণ কেউ উচ্চ মাধ্যমিকে ১০০% নাম্বার পেয়েছেন তাহলে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক স্কোর করবেন ১০। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি সই করা নথিতে উচ্চ মাধ্যমিক স্কোর শূন্য দেখা যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! নতুন নিয়মে আবার কোন বদল? ঘোষণা করল সংসদ
আবার মাধ্যমিকে ০.৩৩১। উচ্চ মাধ্যমিকে ০.৫০০। সায়ক হালদার-সহ বেশ কয়েকজন মামলা করেন। ২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ১৯ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নিয়োগে কাট অফ মার্কস প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্যাটাগরি ও মিডিয়াম ধরে কাট অফ মার্কস প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলাকারীদের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি জানান, ‘ফেল করেও চাকরি পাওয়ার নথি প্রকাশ করেছে পর্ষদ। টাইপোগ্রাফি ভুল নয়। কারণ প্রদত্ত নম্বরের সঙ্গে বাকি নম্বরগুলি যোগ করলে মিলে যাচ্ছে সর্বমোট নম্বর। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি সংরক্ষণ সংক্রান্ত একাধিক অসঙ্গতি আমাদের নজরে এসেছে।’