আপনি কি মনে করেন আপনাকে ভবানীপুরে টিকিট দেবে দল? আপনাকে প্রার্থী করার নেপথ্যে কারণ কী?
প্রিয়াঙ্কা: আমি টিকিটের জন্য দলকে বলিনি, দল আমাকেই টিকিট দেবে, এমনটাও মনে করিনি কখনও। এটা দলের হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্ত। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আমি যোগ্য মুখ। তাঁরা দেখেছেন, আমার সঙ্গে মানুষের সংযোগ কতটা, সেই কারণেই হয়ত আমাকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হল।
advertisement
ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়া তো বিরাট চ্য়ালেঞ্জ। কীভাবে সামলাবেন, কিছু প্ল্যান করেছেন?
প্রিয়াঙ্কা: বড় চ্যালেঞ্জ? আমার কাছে অন্তত নয়। আমি ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে নিয়ে গিয়েছি। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সেখানে তাঁকে ভুল প্রমাণ করেছি। এটা দ্বিতীয় বার, যখন আমি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করব। আমি ভবানীপুরে জন্মেছি, প্রতিটা রাস্তা চিনি ওই এলাকার। এটা আমার 'নানীবাড়ি'।
আপনি কি মনে করেন, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার লড়াইয়ের জন্য এটা আপনার পুরস্কার?
প্রিয়াঙ্কা: এটা আমার কাছে কোনও খেলা নয়। আমি বাংলার গণতন্ত্রের জন্য রুখে দাঁড়িয়েছি। আমি মনে করি, 'মানবতার বেঁচে থাকা জরুরি।' কেউ আপনাকে ভোট দেয়নি মানে আপনি কাউকে মেরে ফেলতে পারেন না, ধর্ষণ করতে পারেন না। আমি এই প্রবণতাকে ধিক্কার জানাই। তাই আমি মানুষের লড়াইয়ে পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি হারি বা জিতি, মানুষের জন্য সবসময় আমি সোচ্চার হব।
ভবানীপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। আপনার কী মনে হয়, এতে আপনার লড়াই আরও কঠিন হল?
প্রিয়াঙ্কা: কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই। আপনারা দেখেছেন, এখানে ওরা কত ভোট পেয়েছিল। কংগ্রেস ও বামেরা লড়াইয়েরই বাইরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট না দিয়ে মানুষ কেন আপনাকে ভোট দেবে?
প্রিয়াঙ্কা: আমি বিশ্বাস করি, যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয়, মানুষকে যদি নিজের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে দেওয়া হয়, আমি জিতব। আমি মানুষের পালস বুঝি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর করে মানুষকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। যখন মানুষ ঘরছাড়া হচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে মেয়েরা, তখন তিনি চুপ ছিলেন। আমি মানুষকে ঘরে ফেরাতে সোচ্চার হয়েছি।
আপনার প্রচারের স্ট্র্যাটেজি কী হবে?
প্রিয়াঙ্কা: আমি মানুষের দরজায়-দরজায় যাব। অনুন্নয়ন নিয়েই মানুষের সঙ্গে কথা বলব। আপনি মানুষকে ৫০০ টাকা দিয়ে একটি ভোট কিনতে পারেন, কিন্তু মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ৫০০ টাকার থেকেও বেশি প্রয়োজন সামগ্রিক উন্নয়ন। আমি মানুষকে এই সরকারের থেকে সচেতন কর।
দিল্লির নেতারা আপনার জন্য এসে প্রচার করবেন মনে হয়?
প্রিয়াঙ্কা: এটা নেতৃত্বের বিষয়। তৃণমূলের যেমন কুণাল ঘোষের মতো স্টার ক্যাম্পেনার আছে। যে জেল খেটে এসেছে, তাঁরাই ওদের প্রচারক।
বিজেপি মা দুর্গাকে অপমান করেছে, তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
প্রিয়াঙ্কা: মা দুর্গা ওদের থেকে অনেক দূরে। তাঁরা মানুষকেই রক্ষা করতে পারেন না। খুব শীঘ্রই মানুষকে তাঁদের জবাব দিতে হবে।