পুলিশ বাড়িটিকে ঘিরে রেখেছিল। পুলিশের উপস্থিতিতেই ঘটনাটি ঘটেছে। রিপোর্টে এটি পরিষ্কার। কিন্তু বলা হচ্ছে, আনিস খান নিজে পড়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পলিগ্রাফি টেস্ট রিপোর্ট সর্বত্র প্রামাণ্য নথি হতে পারে না। ওপর থেকে পড়েছে কিন্তু হাত ও পা ভাঙেনি। রিপোর্টের সর্বত্র সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। আসলে তাঁকে খুন করা হয়েছে এটা পরিষ্কার। পলিগ্রাফ টেস্টে যে প্রশ্ন করা হয়েছে অভিযুক্তদের, সেটা অযৌক্তিক। বিচারপতি প্রশ্ন ছোঁড়েন, এখানে কি খুনের ধারা যুক্ত করতে হবে বলে মনে করছেন?বিকাশের উত্তর 'হ্যাঁ'। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়ালে আরও জানান,হিজাব ইস্যু তো আছেই। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আনিসের প্রতিবাদ আন্দোলন অন্যতম কারণ। পুরো অর্গানাইজ করে ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
advertisement
বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, '' আসল কারণ কঈ? কেন ঘটল? হিজাব আন্দোলন না অন্য কিছু?'' বিকাশের জবাব, '' রিপোর্ট বলছে পুলিশ ঢুকল বাড়িতে ৷ পুলিশ কী করে মাঝরাতে ঢুকল? আশপাশের ৩ টি বাড়িতে নজরদারি রেখেছিল। পুলিশের কথোপকথনে উঠে আসে, তাঁরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিল, সেটা সফল করে গিয়েছে।'' বিচারপতির প্রশ্ন, '' রিপোর্টে তাঁর বাবা যখন বললেন, আনিস বাড়ি নেই, তারপর কি হল? ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল তার কোনও উল্লেখ নেই তদন্ত রিপোর্টে! পুলিশ বাড়িতে ঢুকল, তারপর কী করল? এরপরই দেখা যায় আনিসের রক্তাক্ত দেহ। বাড়ি ঢোকা থেকে আনিসের রক্তমাখা দেহ দেখা... এই মুহূর্তের ঘটনা জানাটাই এক্ষেত্রে তদন্ত। সেটা স্পষ্ট হচ্ছে কই?''
বিকাশের যুক্তি, '' পুলিশের রিপোর্টে আছে, তদন্ত শেষ। পুলিশ ৩০৪ (এ) ধারায় মামলা রুজু করেছে। মৃত্যুর আসল কারণের কোনও উল্লেখ নেই। সবটাই সম্ভাবনা।'' বিচারপতি জানতে চান, পুলিশ ঘটনার পর কেন হসপিটালে নিয়ে গেল না। পুলিশ চলে গেল কেন?'' বিকাশ আরও জানান, '' পুলিশ তার রিপোর্টে শুধু গাফিলতির কথাই বলেছে। আসল ঘটনার উল্লেখ করেনি। তাই আনিস মামলার তদন্ত নিরপেক্ষ সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হোক।'' পুলিশ মাঝরাতে গ্রেফতার করতে এল কোনও নোটিস ছাড়া! রাজ্যের অ্যাডভেকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, '' রাত ১০.১৫ তে ফোন কল এসেছিল অফিসার ইনচার্জ-এর কাছে অ্যাডিশনাল এসপি থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নিয়ে ফোন আসে। CSFL আর পলিগ্রাফ টেস্ট করেছে সিবিআই অফিসার-রা। বাবা পলিগ্রাফ টেস্ট করায় সম্মতি দেয়নি। সমস্ত মোবাইল ফরেনসিক পাঠানো হয়েছে। আনিসের বাড়িতে সমস্ত অভিযান হয়েছে সিভিক ভল্যান্টিয়ার সৌরভ কাঁড়া নেতৃত্বে। মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ ফের মামলার শুনানি।