বৃহস্পতিবারই স্পিকার জানিয়েছিলেন, এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। অর্থাৎ, মহুয়ার সাংসদ পদ থাকছে না খারিজ হচ্ছে, তা শুক্রবারেই চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আশঙ্কাই মিলে গেল শেষমেশ৷
দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি রাখা হয়েছিল। তারপরেই আবার অধিবেশন শুরু হয়। অধীর চৌধুরী লোকসভায় স্পিকারের উদ্দেশ্য়ে বলেন, ‘‘কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। এই সংক্রান্ত বিবেচনা আমি আপনার উপরেই ছাড়ছি।’’ কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি জানান, ‘এথিক্স কমিটি শুধু সুপারিশ করতে পারে। কী সাজা হবে, তা তারা ঠিক করে দিতে পারে না।’ তবে আলোচনার পরে
advertisement
বিতর্কের শুরু হয় ১৫ অক্টোবর। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ তোলার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখতে এথিক্স কমিটিকে দায়িত্ব দেন লোকসভার স্পিকার।
গত ৪ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট লোকসভায় পেশ হওয়ার কথা ছিল৷ যদিও শেষ মুহূর্তে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়৷ এদিন রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে এথিক্স কমিটির রিপোর্টের কপি চেয়ে স্পিকারকে চিঠি লেখেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রিপোর্ট পড়ার জন্য চাওয়া হয় ৪৮ ঘণ্টা সময়। মহুয়াকে যেন বলতে দেওয়া হয়, তার আর্জি জানান সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়৷ কংগ্রেস ও তৃণমূলের আর্জি সত্ত্বেও কথা বলতে দেওয়া হয় না মহুয়াকে৷ শেষমেশ খারিজই হয় মহুয়ার সাংসদ পদ৷