গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই গ্রেফতার করেছিল সেহগলকে, আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলে ছিলেন তিনি। শুক্রবার, এই মামলায় ইডির মামলার প্রেক্ষিতে জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করে ইডি, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, আসানসোলের অবসরকালীন বেঞ্চে সেহগলকে তোলা হবে।
advertisement
অন্যদিকে, গরু পাচারকাণ্ডে চতুর্থ চার্জশিট জমা পড়ল আসানসোল আদালতে। সিবিআই সূত্রের খবর, ৩৫ পাতার এই চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলকে এই দুর্নীতিকাণ্ডের মূল পৃষ্ঠপোষক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তে বীরভূমে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের নথি, জমি ও চালকলের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে সেগুলি অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। তৃণমূল নেতার প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছিল, সেই ধারাগুলোই অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির। তালিকায় রয়েছে ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, ৫৩টি দলিল। পাশাপাশি প্রায় ২৫টি বেনামি দলিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই বিপুল সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতের পরিবারের। চার্জশিটে তিনটি চালকলের কথা বলা হয়েছে। চালকলগুলির নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। কলকাতা ও বীরভূমে অনুব্রতের প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল ও কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই।