নয়া এই পরিষেবা শুরুর তালিকায় রয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ, ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, বাঁকুড়া সম্মিলনী, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিক থেকেই ওই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগের পরিষেবা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন : চলছে বঙ্গ বিজেপির পাঠশালা, আগামিকাল হেডমাস্টারের ভূমিকায় বিএল সন্তোষ
১১টি মেডিক্যাল কলেজেই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগে এক জন করে প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পাশাপাশি ৯ জন করে সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলিতে। এঁরা প্রত্যেকেই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হবেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, “সাধারণ জরুরি বিভাগে ইমার্জেন্সি মেডিসিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করতে পারে। এতে রোগীর জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সমস্যার চিকিৎসা চালু করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধে হয়।”
আরও পড়ুন : আবার ‘খেলা হবে’ ! গানের নয়া সংস্করণ আসছে এবার
প্রবল শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোকে আক্রান্ত, হৃদ্রোগে আক্রান্ত অথবা অন্যান্য জটিল সমস্যার রোগীদের অধিকাংশ সময়েই জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের সাধারণ ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসেন পরিজনেরা। সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করার পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থানান্তরিত করেন। সেখানে যাওয়ার পরে রোগীর নির্দিষ্ট রোগ বা সমস্যার জরুরি চিকিৎসা শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেকটা সময় নষ্ট হয়। অনেক সময়ে রোগীর প্রাণসংশয়ও তৈরি হয়। তাই এই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ থাকলে এই প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি অনেকাংশে কমবে।