পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের তৎপরতায় ও ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করাতে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। এবং হাতি কোনও মানুষকে মারার ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়। সেই পরিবারের একজন সমর্থ্য ব্যক্তিকে, যার কাজ করার ক্ষমতা আছে, তাঁকে ফরেস্ট গার্ডে চাকরি দেওয়া হয়। এদিন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এত বিপুল পরিমাণে ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার বিষয়টি ভারতবর্ষের অন্য কোনও রাজ্যে প্রচলন নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: তাপমাত্রার বড় পরিবর্তন! কুয়াশা কাটিয়ে অবশেষে সূর্যস্নাত কোচবিহার, দেখুন
উক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি থেকে আই.জি, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট- গভার্মেন্ট অফ ইন্ডিয়া শ্রী রমেশ পান্ডে এসেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব শ্রী বিবেক কুমার, মুখ্য বনপাল শ্রী সৌমিত্র দাশগুপ্ত, রাজ্যের বন ও অচিরাচরিত শক্তি উৎস দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বন বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা-সহ ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের ওয়াইল্ড লাইফের প্রধানরা।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনার তদন্তে গ্রামের রাস্তায় কেন্দ্রীয় দলকে দেখেই এ কী কাণ্ড! ভিডিও দেখলে চমকে যাবেন
রাজ্যের বক্তব্য, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই হাতি সুরক্ষিত থাকে, পশ্চিমবঙ্গেই হাতিকে মারা হয় না। ইতিমধ্যেই রাজ্যের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গে হাতির করিডোর তৈরি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ৭টি ও দক্ষিণবঙ্গে ৪টি। রাজ্যে আরও হাতির করিডোর তৈরি করবার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ বনবিভাগের পক্ষ থেকে। কলকাতার নিউটাউনের এক হোটেলের কনফারেন্স হলে এক দীর্ঘ আলোচনাচক্র চলে, বেলা ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।
রাজ্যের তরফে জানানো হয়, হাতি যদি কৃষকের শস্য নষ্ট করে তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কৃষকদের তৎক্ষনাৎ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। হাতির আক্রমণে যদি কোনও বাড়ি ভাঙে তবে, দ্রুততার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। এই আলোচনায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ধরনের জীবজন্তু ভীষণভাবে সুরক্ষিত থাকে, রাজ্যের এই রিপোর্ট তারা পেয়েছেন।"