সিবিআইয়ের পর এবার নারদ স্টিং কাণ্ডে তদন্তে নেমেছে ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট ৷ ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে প্রকাশ্যে আসে নারদ স্টিং ফুটেজ। ১২ তৃণমূল নেতা এবং এক আইপিএস-এর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির সদর দফতরে দেখানো ফুটেজ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের পর এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমন আইনে অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই ৷
advertisement
এর আগে সিবিআই তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তরে টাকা আদান প্রদান নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছিলেন ম্যাথু ৷ তিনি জানান, ২৩ মার্চ, ২০১৪
প্রথম স্টিং অপারেশন। পরদিন হোটেল টিউলিপে একটি যোগাযোগ দিয়ে পৌঁছনোর চেষ্টা নেতাদের কাছে
৫ এপ্রিল, ২০১৪
সুলতান আহমেদ ৫ লক্ষ টাকা ভাইকে দিতে বলেন
১১ এপ্রিল, ২০১৪
৪ লক্ষ টাকা নেন ইকবাল আহেমেদ
১৩ এপ্রিল, ২০১৪
শুভেন্দু অধিকারী হলদিয়া অফিসে বসে ৫ লক্ষ টাকা নেন
১৫ এপ্রিল, ২০১৪
৫ লক্ষ টাকা নেন কাকলী ঘোষ দস্তিদার
১৬ এপ্রিল, ২০১৪
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ৪ লক্ষ টাকা নেন
নিজের জন্য ৫ লক্ষ ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম করে আরও ১ লক্ষ টাকা নেন ইকবাল আহমেদ
১৭ এপ্রিল, ২০১৪
টাইগারের মাধ্যমে মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগের পাকা কথা। বিনিময়ে টাইগার আগেই ১ লক্ষ টাকা নেয়।
১৮ এপ্রিল, ২০১৪
আইপিএস মির্জা বিভিন্ন মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক ঠিক করে দেন
২৫ এপ্রিল, ২০১৪
মদন মিত্র ৫ লক্ষ টাকা নেন
মুকুল রায় টাকা দিতে বলেন মির্জার কাছে
২৬ এপ্রিল, ২০১৪
অপরূপা পোদ্দার ৩ লক্ষ টাকা নেন
২৭ এপ্রিল, ২০১৪
৫ লক্ষ টাকা নেন সৌগত রায়
১ মে, ২০১৪
৪ লক্ষ টাকা নেন শোভন চট্টোপাধ্যায়
২ মে, ২০১৪
ববি হাকিম ৫ লক্ষ টাকা নেন
ম্যাথুর দেওয়া তথ্য অনুসারে সব মিলিয়ে এর জন্য ব্যয় হয় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। টাকা দেন তৃণমূলেরই এক সময়ের সাংসদ কে ডি সিং।