যাঁরা অফ লাইন রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন তাঁরাই কি চাকরি পেয়েছিলেন ? সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। কারণ প্রায় ৬০০ কলেজ রয়েছে। যেখানকার বহু স্টুডেন্ট অফলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছিল। স্টুডেন্ট প্রতি ৫০০০ টাকা অফ লাইনে নিয়ে মানিক ও মানিকের ঘনিষ্ঠদের একাধিক একাউন্টয়ে যেত। ইডি সূত্রে খবর, তাপস মন্ডল ওই কলেজ গুলির এসোসিয়েশন সেক্রেটারি। তাই নথি চাইলো ইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: চিটফান্ড মামলায় বড় গ্রেফতার সিবিআই-এর! তোলপাড় বর্ধমান
কারণ ইডির দাবি, 2018 - 2020, 2019-2021, 2020-2022 এই তিনটে সেশনে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছিল, এবং সেই লেনদেন নগদে করা হয় বলে দাবি ইডির।সেই টাকা মানিক ও মানিক ঘনিষ্ঠদের একাউন্টয়ে গিয়েছে দাবি ইডির।ইডির দাবি, মানিক ভট্টাচাৰ্যর স্ত্রী ও মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী জয়েন্ট একাউন্ট মিলেছে। যেখানে ৩ কোটি মিলেছে। ২০১৬-তে মৃত্যুঞ্জয় মারা যান। তা সত্ত্বেও কি করে সিঙ্গেল অ্য়াকাউন্ট না করে জয়েন্ট একাউন্ট এখনো চালাচ্ছেন?এই টাকাও কি তাহলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা? ইডির দাবি তেমনটাই।
আরও পড়ুন: 'দীপাবলিতে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি', মেচেদায় আনন্দিত শুভেন্দু অধিকারী! গাইলেন কীর্তনও
মানিকের বাড়ি থেকে যে দুটি সিডি পাওয়া গিয়েছিলো তার মধ্যে একটি সিডিতে ৪০০০ ক্যান্ডিডেট লিস্ট ছিল। তাদের রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন ছিল। এর মধ্যে ২৫০০ জনের চাকরি পেয়েছে। ইতিমধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি এডুকেশন থেকে যে লিস্ট পাওয়া গিয়েছে সেখানে ২৫০০ নাম আছে বলে দাবি ইডির। কিভাবে চাকরি পেলো?তা খতিয়ে দেখছে ইডি, কীভাবে চাকরি হলো?এখনো পর্যন্ত ১০ কোটি টাকা হদিস পেয়েছে ইডি মানিক ও মানিকের আত্মীয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। এই গোটা দুর্নীতিতে ১০০ কোটি টাকা মিলেছে। তার মধ্যে ১০ কোটি টাকা মানিক ও মানিকের ঘনিষ্ঠর ব্যাংক অ্যাকাউন্টয়ে।