অনলাইন গেমিং অ্যাপের নাম করে বিপুল আয়ের লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ ছিল আমির খান নামের ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে৷ সবমিলিয়ে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ছিল৷ গোটা দেশেই এই প্রতারণার জাল ছড়ানো ছিল৷
আরও পড়ুন: টালির বাড়ি থেকে খাটের নীচে ১৭ কোটি! আমিরের কীর্তিতে হতবাক গার্ডেনরিচ
advertisement
নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতেই এ দিন সকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল এলাকায় হানা দেন ইডি গোয়েন্দারা৷ মূল অভিযুক্ত আমির খানের আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং অফিসে শুরু হয় তল্লাশি৷ প্রথমে খোঁজ না পেলেও গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়ির দোতলার ঘরে খাটের নীচ থেকে প্রথম টাকা উদ্ধার হয়৷ সেই শুরু৷ বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে নিয়ে আসা হয় ব্যাঙ্কের কর্মীদের৷ সঙ্গে আনা হয় আটটি টাকা গোনার যন্ত্র৷ এর পর যত সময় গড়িয়েছে, টাকার অঙ্ক বেড়েছে৷ সন্ধে সাড়ে ছ' টা নাগাদ অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ কোটি৷
এর পরে এক সময় খবর ছড়িয়ে পড়ে, উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক ১৮ কোটি ছুঁয়েছে৷ যদিও শেষ পর্যন্ত ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়৷ টাকা গোনার জন্য মোট দশ যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল৷ ছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মীরাও৷ রাত প্রায় সাড়ে আটটা পর্যন্ত টাকা গোনার কাজ চলে৷
টাকা গোনা শেষে ট্রাঙ্কে করে বিপুল পরিমাণ সেই অর্থ বের করা হয়৷ আগে থেকেই টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাক তৈরি ছিল৷ পাঁচটি ট্রাঙ্কে ভরে মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা বের করে আনেন ইডি-র আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ অবাক চোখে তখন সেদিকে চেয়ে থাকল ভিড় করা জনতা! ছাপোষা বাড়িতে যে টাকার পাহাড় ছিল, তা যেন তখনও তাঁদের বিশ্বাস হচ্ছিল না৷