এ দিনই কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে মেডিক্যালের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে ব্যাঙ্কশাল আদালতে। ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রীকে জেরার জন্য নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারতীয় জনতা পার্টি আমাকে শিকার করল’, গ্রেফতারির মুখে বিস্ফোরক জ্যোতিপ্রিয়
ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পরেই নাম উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন দুর্নীতি মামলায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে বাকিবুরের পিছনে বড়ো মাথা হিসাবে গ্রেফতার হলেন মন্ত্রী। এ দিন তল্লাশিতে বনমন্ত্রীর বিপুল সম্পত্তি ও আয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর মেলেনি। একের পর এক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান বলেই সূত্রের খবর। আর তারপরেই তাঁকে বাড়ি থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
রেশনের গম খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে বাকিবুরের বিরুদ্ধে। এই দুর্নীতিতে রাজ্যের রেশন ডিলারদের একাংশও যুক্ত বলে অনুমান ইডির তদন্তকারীদের। বাকিবুরের সময় তৎকালীন খাদ্য মন্ত্রী ছিলেন জোত্যিপ্ৰিয়। ফলে তিনি এই দুর্নীতির বিষয়ে জানতেন বলে দাবি ইডির।মোবাইলের চ্যাট ও লেনদেনের একাধিক নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বয়ানে ফারাক মেলে এ দিন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সল্টলেকের বিসি ২৪৫ নম্বর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি৷ খাদ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান, আয়ের উৎস সংক্রান্ত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখেন ইডি কর্তারা৷ রাতের দিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিয়ে আসা হয়৷ তখন থেকেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে ইডি হেফাজতে নিতে পারে বলে জল্পনা বাড়ে৷ শেষ পর্যন্ত শুক্রবার ভোর ৩.২০ মিনিট নাগাদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সল্টলেকের বাড়ি থেকে ইডির দফতরে নিয়ে আসা হয়।