পূর্ব রেল বার বার সতর্ক করেছে যে প্ল্যাটফর্মে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা, চা প্রস্তুত করা প্রভৃতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও ত্রিপল, প্লাইউড, প্লাস্টিকের মতো দাহ্য উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি স্টল গুলিতে কিছু অবৈধ বিক্রেতা প্রতিদিনই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন যা প্ল্যাটফর্মে থাকা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
প্ল্যাটফর্মে আগুন না জ্বালানোর জন্য বারবার প্রচারাভিযান চালিয়ে ও এই অবৈধ বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে পূর্ব রেল । বিশেষত, শিয়ালদহ (মেইন) বিভাগের বিধাননগর, দমদম, বেলঘরিয়া, বনগাঁ, রানাঘাট প্রভৃতি এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ বিভাগের পার্কসার্কাস, যাদবপুর, বালিগঞ্জ, ক্যানিং, ঘুটিয়ারি শরিফ প্রভৃতি স্টেশনে এই অবৈধ স্টলগুলোর কারণে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।
advertisement
আরও পড়ুন : বুধবার থেকে রাজ্যজুড়ে ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘট! নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যোগানে টান পড়ার আশঙ্কা চরমে
অন্যদিকে হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত বালি, উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, শেওড়াফুলি, চন্দননগর, হুগলি, ব্যান্ডেল প্রভৃতি স্টেশন গুলিতেও নিত্যযাত্রীদের একই অসুবিধের মধ্যে পড়তে হয়। এমনকি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর পর্যাপ্ত স্থানও থাকে না। যদি এই পরিস্থিতিতে একই সময়ে দু’টি ট্রেন দু’টি প্ল্যাটফর্মে আসে, তাহলে তাড়াহুড়োয় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা প্রাণহানির সম্ভাবনাও বয়ে আনে।
রেলওয়ে সম্প্রতি “ওয়ান স্টেশন, ওয়ান প্রোডাক্ট (OSOP)” স্টল চালু করেছে, যা রেলওয়ে অনুমোদিত এবং নিরাপদ। রেলওয়ের আশা, যাত্রীরা OSOP স্টলগুলোকে সমর্থন করবেন এবং অবৈধ বিক্রেতাদের নিরুৎসাহিত করবেন, যাতে প্ল্যাটফর্মে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়। সচেতন নাগরিক হিসেবে এই ধরনের অননুমোদিত বেআইনি স্টল গুলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। যাত্রীদের কাছে রেলওয়ে আবেদন করেছে, যদি কোথাও এ ধরনের দোকান দেখা যায়, যেখানে আগুন জ্বালানো হচ্ছে, অবিলম্বে প্রতিবাদ করে রেলকর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য।