গত বছর মেট্রোর সুড়ঙ্গ তৈরির সময় বউবাজারে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। তার জেরে দুটি টানেল তৈরির কাজ আটকে যায়। একটি টানেল বোরিং মেশিন চান্ডি এখনও মাটির নীচে বউবাজারে আটকে আছে। অপর টানেল বোরিং মেশিন উর্বী টানেল খোঁড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। লকডাউনের জন্যে সেই কাজ দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকে। অবশেষে অনুমতি পেয়ে সেই কাজ শুরু হলেও তা ফের থমকে যায়। যে গতিতে কাজ এগোচ্ছিল তাতে কে এম আর সি এল আশাবাদী ছিল আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শিয়ালদহ অবধি টানেল পৌছানো যাবে। তারই মধ্যে এভাবে একাধিক কর্মী-আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় ফের থমকে যায় সেই কাজ। এই অংশে যে সব কর্মী আধিকারিক কাজ দেখাশোনা করছিলেন, তাদের সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। এর মধ্যে কে এম আর সি এল'এর আধিকারিকরা যেমন ছিলেন তেমনি ছিলেন নির্মাণ সংস্থার আধিকারিকরাও।
advertisement
মোট ৩ শিফটে এই কাজ করা হত। মাটির নীচে যে তাপমাত্রা তাতে কারও পক্ষে পিপিই পড়ে কাজ করা সম্ভব নয়। ফলে মাটির ২৫ মিটার নীচে নামার আগে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হতো। মাস্ক ও গ্লাভস বাধ্যতামূলক সেখানে। কোভিড পরিস্থিতিতে তা আরও গ্রহণযোগ্য ছিল। এছাড়া স্যানিটাইজার ঘন ঘন ব্যবহার হতো। মাটির নীচে ওই জায়গায় যতটা দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব ততটা রেখেই কাজ চলত। এর পরেও কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় সংস্থাকে। ১৫০ জনকেই পাঠানো হয়েছিল কোয়ারেনটাইনে। টানেল সহ প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি স্যানিটাইজ করা হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে টানেল ইনচার্জ নিজেই থাকায় সমস্যা বেড়েছে। আপাতত অত্যন্ত ধীরে ধীরে সেই কাজ হবে। সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থা। আপাতত শিয়ালদহ থেকে ৫৫০ মিটার দূরে রয়েছে উর্বি।
ABIR GHOSHAL