“এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যের পরিস্থিতি না বিচার করে ও আলোচনা না করেই ডিভিসি জলাধারগুলি থেকে এইভাবে জল ছাড়ল। ডিভিসিকে অনুরোধ করা সত্ত্বেও সেই অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়। ডিভিসি জলাধারগুলি থেকে এই পরিমাণ জল ছাড়া দরুণ ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। টানা বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি নদীর জল বিপদ সীমার স্তরে রয়েছে। ডিভিসির জল ছাড়ার দরুণ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক অংশ নতুন করে প্লাবিত হতে পারে। এইরকম আচরণের জন্য অতীতে ডিভিসি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধি তুলে নেওয়া হয়েছিল। এটা মনে রাখবেন আপনারা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। জল ছাড়ার পরিমাণ কমান।”
advertisement
আরও পড়ুন– সাগরে ফের নিম্নচাপ অঞ্চল ! রাজ্যে চলবে ঝড়-বৃষ্টি, কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টি? জেনে নিন
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রের দ্বারা পরিচালিত এই সংস্থাটি ক্রমশ আরও বেশি বেশি করে বাংলা-বিরোধী হয়ে উঠছে। সারা ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলা-বিরোধী পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিস্থিতিকে দেখতে হবে। ২০২৪ সালের তুলনায় এ বছর DVC-র জল ছাড়ার পরিমাণ ১১ গুণ বেড়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় বেড়েছে ৩০ গুণ!! দক্ষিণবঙ্গে বন্যা ঘটানোর জন্য এটি একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এটি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, বাংলাকে বিপদে ফেলার জন্য এটা আরও বেশি বেশি করে ঘটাতে থাকা ম্যান-মেড বিপর্যয়।