নবান্ন সূত্রে খবর গাইডলাইনে বলা হয়েছে ১)পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলে কোন মহকুমা শহরে এই শোভাযাত্রা বা কার্নিভালের আয়োজন করতে হবে।২) যারা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সেই কমিটিগুলিকে চিহ্নিত করে এবং প্রয়োজনে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানের জন্য গঠিত জেলার বিচারক মন্ডলীর মতামত গ্রহণ করে সেই পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে কার্নিভালে অংশগ্রহণ করানো যেতে পারে।৩) যে সমস্ত পুজো কমিটি গুলি এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবেন তারা প্রতিমা বহনের পাশাপাশি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতে পারে।
advertisement
৪) সে ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পুজ কমিটির মূল মঞ্চের সামনে দুই মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে পারবে। ৫) এই কানিবালের জন্য জেলাগুলির বিভিন্ন এলাকা যথাযথ ব্র্যান্ডিং দিয়ে সুসজ্জিত করতে হবে এবং মূল মঞ্চের ব্র্যান্ডিং সকল যেটা যাতে একই ধরনের হয় তার জন্য নবান্নের তরফে একটি নকশাও দেওয়া হবে।
৬) রাস্তা দু'ধারে যাতে সাধারণ মানুষ দাঁড়াতে পারেন বা বসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ৭)পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে জেলাগুলির বিভিন্ন প্রান্তে এই কার্নিভালটি ভালোভাবে দেখতে পান তার জন্য এলইডির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যে পুজো কমিটিগুলি এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে তাদের কোন কোন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করবে তা আগে স্থির করে নিতে হবে। ৯) কার্নিভালকে কেন্দ্র করে যাতে যাননি অঞ্চলের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় সেই বিষয়ে ও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি অনুষ্ঠান স্থল কেমন হবে তা নিয়েও গাইড লাইনে একাধিক তথ্য দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে এই ২৫ দফার গাইডলাইন কে মেনে জেলাগুলিকে একটি সমন্বয় কমিটি তৈরি করে কার্নিভালকে শান্তিপূর্ণভাবে করার কথা বলা হয়েছে সেই গাইডলাইনে। সবমিলিয়ে এই প্রথম জেলায় জেলায় পুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে চলেছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়