রাজ্যের কাছে কোনও মহার্ঘ ভাতা বকেয়া নেই। সেই জন্যই আদালতে রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। তাই আদালতের নির্দেশের পরে রাজ্য তার কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে উদাসীন এই বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত নয়। কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা এবং পূজার অনুদান দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দুটিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে অভিযোগ করা যায়না।
advertisement
রাজ্য সরকারের হলফনামায় বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার পূজা কমিটিগুলোকে বিদ্যুৎ বিলে কোনও ছাড় দিচ্ছে না। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। অবিলম্বে বিপুল আর্থিক জরিমানা করে মামলা খারিজ করা উচিত। এই মামলা করার কোনও গ্রহণযোগ্য অবস্থান মামলাকারীর নেই। পুজো সংক্রান্ত অনুদানের জন্য ২০১৮ সাল থেকেই পুলিশ 'অনুশীর্ষে' (Sub Head) অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। এতে কোনও বাধা নেই।
আরও পড়ুন : কর্মবিরতি ঘিরে তোলপাড় হাইকোর্ট! মঙ্গলেও আইনজীবীদের শোরগোল চরমে, উত্তপ্ত আদালত চত্বর
হলফনামায় বলা হয়, ইউনেস্কোর তরফ থেকে দুর্গাপূজাকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজ্যের সঙ্গে দেশের জন্যও গর্বের বিষয়। সংবিধানের 51A ধারা অনুযায়ী হেরিটেজ রক্ষা করার দ্বায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে এবং রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন তারা এগুলিকে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ হয় না।