অন্যান্য বছর পুজোর সময় ভোল বদলে যায় হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনের। লাখো মানুষের ভিড়ে চেনা স্টেশনের অচেনা রূপ প্রকাশ পায়। চলতি বছরে স্পেশাল ছাড়া ট্রেন নেই। আর কলকাতায় যারা ঠাকুর দেখতে আসেন তাঁদের একটা বড় অংশ আসেন লোকাল ট্রেনে চেপে। এ বার সেটাও সারা রাত ধরে চলাচল বন্ধ।
তবু তার মধ্যেও দুর্গাপুজোর আবহে স্টেশন চত্বর সাজানো হয়েছে বাহারি আলোয় ৷ ফলে বিগত বছরগুলির মতো এ বারও চেনা স্টেশনকে বাইরে থেকে অপরূপ অচেনা লাগছে। হাওড়া স্টেশন বিল্ডিং বরাবরই সুন্দর। হাওড়া ব্রিজ এবং গঙ্গার পাড়ে হওয়ার কারণে এর সৌন্দর্য আলাদা। এ বার স্টেশন সাজানো হয়েছে তিন রঙা আলোয়। আলোর মালায় গাঁথা হয়েছে দেবী দুর্গার মূর্তি।
advertisement
আরও পড়ুন : অষ্টমীতে জন-সুনামি বুর্জ খলিফায় ! উপচে পড়া ভিড় শ্রীভূমিতে
পাশাপাশি ঢাক আর কাঁসরের মেলবন্ধনে সেজে উঠেছে স্টেশন চত্বরও। যদিও ফুড প্লাজা প্রতিবার সাজানো হয়। এ বার আর সেই ছবি ধরা পড়েনি। শিয়ালদহ স্টেশন সাজানো হয়েছে বাহারি সবুজ আলোর মালায়। সামনের নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশনও আলোর মালায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। শিয়ালদহ স্টেশনের ভেতরের ভোলবদল হয়েছে। যদিও আগের মতো যাত্রী সেভাবে না থাকায় গমগম করা ব্যাপারটা এ বার নেই৷ তবে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে যাঁরা আসছেন, তাঁরাও বলছেন মন খারাপ লাগছে বটে, তবে স্টেশনের বাহারি আলো পুজোর মুড তৈরি করে দেয়।
আরও পড়ুন : অষ্টমীতে রাজ্যের করোনা-পরিস্থিতির কী হাল? সংখ্যা থেকেই মিলছে বিপদের গন্ধ!
ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক স্টেশনের এই আলোকসজ্জা ট্যুইট করেছেন। পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ডিভিশনাল হেড কোয়ার্টার সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। পুজোর সঙ্গে সকলের ভাল লাগা জুড়ে থাকা। তাই বরাবরের মতো এভাবেই স্টেশন সাজানো হয়েছে। সেজে উঠেছে আসানসোল ও কলকাতা স্টেশন। আসানসোল স্টেশনের ‘ট্রেন অন হুইলস’ রেস্তরাঁর ব্যাপক চাহিদা আছে। কলকাতা স্টেশনের পাশেই আছে একাধিক পুজো। এছাড়া স্টেশনের স্পা ও ফুড প্লাজা এ বারও অন্যতম আকর্ষণ।