'দুর্বার'-এর কম্যিউনিটি মেম্বার বিশাখা লস্কর জানালেন, '' টানা দুবার লকডাউনে বহু শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। কাজ চলে গিয়েছে বহু মানুষের। এরমধ্যেই এমন অনেকে আছেন, যাঁদের এই মুহূর্তেই টাকার প্রয়োজন! কারও বাড়িতে অসুস্থ প্রিয়জনেরা আছে, কারও বা ছেলে-মেয়ের স্কুলের মায়না দিতে হবে, কারও বা বাড়ি ভাড়া বাকি! তাঁরা আমাদের এখানে এসে জানিয়েছেন। আমরা প্রথমেই কাউন্সেলিং করি, তখনই সামনে আসে ঠিক কী কারণে তিনি এই পেশায় আসছেন। যদি কেউ স্বেচ্ছায় এই পেশায় আসতে চান এবং বয়স ১৮ বছরের কম না হয়, তা হলে আমরা তাঁদের আটকাতে পারি না। বলা ভাল, আমরা তাঁদের হ্যা-ও বলি না, আবার না-ও বলি না। তবে এটাও বুঝিয়ে দিই, কী কী নিয়মের মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হবে। এরমধে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল মেডিক্যাল চেক-আপ। ''
advertisement
দুর্বারের পক্ষ থেকে অন্যান্য পেশার মতো এই পেশাকেও স্বীকৃতি আদায়ের লড়াই লড়ছে। তাঁদের দাবি, বেশিরভাগ মহিলাই অর্থের অভাবে নিজের ইচ্ছাতে এই পেশায় আসেন। জোর করে যৌন পেশায় বাধ্য করার মত নমুনা এখন আর নেই। বিশাখা লস্করের কথায়, '' এমন অনেক সংস্থা আছে, যেখানে একজন মহিলাকে দিনমজুরের কাজ করে ৪-৬ হাজার টাকা রোজগার করছেন মাসে। এদিকে, এর উপরন্তু তাঁকে মাআলিকের যৌনলালসাও মেটাতে হচ্ছে, সেটা বিনামূল্যে! এই জায়গা থেকেই অনেক মহিলা যৌনপেশা বেছে নিচ্ছেন। এখানে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করা সম্ভব। কোনও জোরজুলুম নেই।''