স্মার্ট। ইংরেজিতে চোস্ত। তাহলেই মিলবে এমন চাকরি। কিন্তু, কাজটা কী? অনলাইন ফার্মেসি। টেলিফোনে বিদেশের খদ্দের ধরা। কল সেন্টারের আড়ালে এভাবেই ছ’বছর ধরে এ শহরে বসে চলছিল মাদকচক্র।
সম্প্রতি, দিল্লি বিমানবন্দরে একটি প্যাকেট উদ্ধার করে এনসিবি। তাতে বেশ কিছু ঘুমের ওষুধ মেলে। কলকাতা থেকে ওই প্যাকেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছিল। সেই সূত্র ধরেই শ্যামনগর থেকে সুনীল আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনসিবি। খোঁজ মেলে মহেশতলার বাসিন্দা গণেশ পুনের। তার বাড়িতে মেলে প্রচুর ঘুমের ওষুধ। গড়ফা থেকে গ্রেফতার করা হয় পাচারচক্রের মূল পাণ্ডা ক্লেমেন্ট ফিলিপসকে।
advertisement
সাউথ সিটির কাছে একটি অফিস থেকে চলছিল এই কারবার। দিনের বেলা কল সেন্টার। রাতে বদলে যেত তার চেহারা। রাত ৯ থেকে ভোর ৪ পর্যন্ত ফোনে অর্ডার নেওয়া হত । এজেন্টদের থেকে অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করা হত গ্রাহকদের নাম ও ফোন নম্বর। অর্ডার নিশ্চিত করতে পারলে কর্মীদের মোটা টাকা ইনসেনটিভ দেওয়া হত। অর্ডার পেয়ে নানা দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ সংগ্রহ করা হত। ৫ টাকার ঘুমের ওষুধ বিক্রি হত অন্তত ১০ ডলারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নিষিদ্ধ ঘুমের ওষুধ সকলের চোখের সামনে দিয়ে বিমানে পাচার। ছ’বছর ধরে কারবার চললেও তা নজরে আসেনি কারও? এমন ঘটনা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বলয় ও স্ক্যানিংনিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।