দু’টি বাসই হুডখোলা বা ছাদ খোলা থাকবে। বর্ষা বা গরমে ছাদে অস্থায়ী ছাউনি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে নির্মাণসংস্থার সঙ্গে নিগম-কর্তাদের কথা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষ এক ধরণের শিট ব্যবহার করা যাবে। পরিবহণ-কর্তাদের আশা, ২০ মার্চের মধ্যেই কলকাতায় চলে আসবে নতুন দু’টি দোতলা বাস। বহুদিন ধরেই রাজ্য কলকাতায় আবার দোতলা বাস চালাতে আগ্রহী।অনেকটা লন্ডনের সিটি ট্যুরের ধাঁচে শহরে পর্যটনের ক্ষেত্রে এই বাস ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছিল। এবার এই বাস দিয়ে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মনে করছেন দুই দফতরের আধিকারিকরা।
advertisement
ইতিহাস বলছে, কলকাতার রাস্তায় প্রথম দোতলা বাস চলে ১৯২৬ সালে। পরিবহণের জন্য স্বাধীনতার পর সিএসটিসি নামের সংস্থা তৈরি হয়। তারাই কলকাতার রাস্তায় দোতলা বাস নামায়। ১৯৯০ থেকে এই বাসের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। একটা সময় ব্যরাকপুর, হাওড়া, বেহালা থেকে চলাচল করত এই দোতলা বাস। কিন্তু নানা সমস্যার জন্য ২০০৫-এ দোতলা বাসের রাস্তায় নামা বন্ধ হয়। এখন স্মারক হিসেবে একটি দোতলা বাস রাখা রয়েছে নিউটাউনের ইকো পাকে। তবে সেই বাসের রং বদলে ফেলা হয়েছে। লাল থেকে নীল-সাদা হয়েছে। ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে বা বিশেষ অনুষ্ঠানে রাজারহাট, নিউটাউনে চালানো হয় এই বাস।
নতুন নীল-সাদা বাসে থাকছে সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থা। থাকছে আগের চেয়ে বেশি চওড়া সিঁড়ি। তবে যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তা বাসের ভেতরে করা হয়েছে। বাসের মধ্যে থাকছে সিসি ক্যমেরা, প্যানিক বাটন। আসন আগের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক। দোতলা অংশ ঘিরে রাখা আছে স্বচ্ছ ফাইবার গ্লাস দিয়ে। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর "কলকাতার যীশু" কবিতায় দোতলা বাসের গল্প আছে। এছাড়া একাধিক সিনেমাতেও কলকাতার নস্ট্যালজিক এই দোতলা বাসের নানা গল্প রয়েছে। সেই পুরনো স্মৃতি আবারও এই নতুন বাসের হাত ধরে ফিরবে বলে মনে করছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আশা করছি শীঘ্রই কেন্দ্রের অনুমতি পেয়ে যাবে রাজ্য, এই বাস পথে নামানোর জন্য।