এর পর বাগানগুলি খোলার জন্য উদ্যোগ নেয় রাজ্য। একের পর এক বৈঠক করা হয়। শিলিগুড়ি জয়েন লেবার কমিশনারের দফতরের চা-বাগান শ্রম ইউনিয়নের নেতৃত্ব, বাগান শ্রমিক এবং মালিক কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ১৭ তারিখ থেকে খুলে যাবে। সেই সঙ্গে বকেয়া বোনাস এবং একটি বকেয়া থাকা মজুরির টাকা তুলে দেবেন শ্রমিকদের হাতে। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাগান খোলার সিদ্ধান্তে সবাই একমত হন। বাগান খোলার খবরে খুশি শ্রমিকরা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিকে আলিপুরদুয়ারের দলসিং চা-বাগানও খুলতেও ১৫ নভেম্বর শ্রম দফতরের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকও ফলপ্রসূ হবে, এমনই আশা করা যায়।
advertisement
পুজোর আগেই, বোনাস সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বেশ কিছু চা বাগান বন্ধ হয়ে যার, যার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েন। শ্রমিকদের অভিযোগ, কোনও নোটিস ছাড়াই মালিকপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে গেছে। বাগান মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে সরকার নির্ধারিত ২০% বোনাস দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতির কারণে পুজোর মুখে বিভিন্ন চা বাগানে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এবং অনেক বাগান বন্ধ হয়ে গেছে।
শ্রমিকরা পুজোর জন্য সরকার নির্ধারিত ২০% বোনাস দাবি করেছেন। অন্যদিকে চা বাগান মালিকদের মতে, ২০% বোনাস দেওয়া তাদের পক্ষে আর্থিক ভাবে সম্ভব নয়। তাঁরা সরকারকে এই বিষয়ে আগেই জানিয়েছিলেন। এই জটিলতার জেরে কয়েকটি চা বাগান বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন। তবে ধাপে ধাপে আলোচনার মাধ্যমে বন্ধ থাকা সেই সব চা বাগান খোলা হচ্ছে।
