#কলকাতা: অবহেলায় অনাদরে রাস্তায় পড়ে থাকা একটি কুকুরকে ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলেন পশুপ্রেমী সুকন্যা দে। ইন্টারনেটের সুবাদে হঠাৎই ডগ থেরাপি সম্পর্কে অবগত হন তিনি। জানতে পারেন কুকুররা কেবল মাত্র খেলার সঙ্গীই নয়, মানসিক অবসাদ কাটাতে, রক্তচাপ কমাতেও এদের অবদান অনস্বীকার্য। বিদেশে এরকম এক চিকিৎসা প্রণালীর কথা জানতে পেরে তিনি নিজে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হোমে যোগাযোগ করেন। একমাত্র পোষ্য ম্যাগিকে সঙ্গে নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। ডক্টর ডগ ম্যাগির সংস্পর্শে একাধিক autistic এবং সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুরা স্বাভাবিক পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছে। নিজের নাম বলতে পারা, অন্যের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদানের সমস্ত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এদের মধ্যে। চারপেয়ে ম্যাগির সঙ্গে খেলাচ্ছলে সময় কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার দিকে অনেকটাই এগিয়েছে এরা। আর এরকম ৫০০ শিশুকে নতুন জীবন দিয়ে থেরাপি ডগ ম্যাগির চাহিদা এখন আকাশ ছোঁয়া।
advertisement
Mental Health Research Centre -এর মনোবিদ ডাঃ সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়ের মতে, autistic শিশুদের মধ্যে রেসিপ্রোকাল রিলেশনশিপ দেখা যায় না। পারস্পরিক অনুভূতি গড়ে ওঠে না। এই সকল শিশুদের ভাব প্রকাশের ক্ষমতা কম। কিন্তু সারমেয়র সংস্পর্শে এদের ব্যবহারে পরিবর্তন আসছে। প্রবীণরা যখন বয়সকালে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, তখন তাঁদের মধ্যে নানান মানসিক রোগ দেখা দেয়। কিন্তু চারপেয়ের সংস্পর্শে এদের স্বভাব পাল্টাতে থাকে।
পশুপ্রেমী সুকন্যা দের বক্তব্য অনুযায়ী, autistic শিশুরা একগুঁয়ে এবং জেদি স্বভাবের হয়। এমনকি অভিভাবকের কথা না শোনার প্রবণতা দেখা যায়। ম্যাগির সংস্পর্শে এরকমই প্রচুর শিশুর ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে। এখন এরা আগের থেকে অনেক বেশি প্রাণচ্ছল এবং শান্ত।
ডগ থেরাপি সেভাবে প্রচার না পেলেও আমেরিকার 'মেডিকেল জার্নালে' এ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ইতালির 'ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ' এবং আরও অনেক দেশ এই পদ্ধতিকে শিলমোহর দিয়েছে।