প্রতিবেশীদের কথায় স্ত্রীকে নিয়ে ওঝারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। তুকতাক, পুজো করেও হল না লাভ। সব চেষ্টাই যখন বিফলে তখন মহিলাকে নিয়ে আসা হল বিধাননগরের মহকুমা হাসপাতালে। আর তাতেই মিরাক্কেল। চিকিৎসক দেখাতেই বদলে গেল ওই মহিলার রূপ। করলেন ছেলের খোঁজ।
আরও পড়ুন: ৯ বছরেও খাবার চিবিয়ে খেতে অক্ষম! আজব অসুখ থেকে যুুুধাজিৎকে মুক্তি দিলেন চিকিৎসকরা
advertisement
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে সূত্রে খবর, ওই মহিলাকে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তাঁর স্বরযন্ত্রে কোনও সমস্যা নেই৷ তখনই নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকরা অনুমান করেন, মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাকে মনস্তত্ত্বে বলে ‘মিউটিজম’। তীব্র শোকে চুপ বা ‘মিউট’ হয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে বেঞ্জোডায়াজিপাইন গোত্রের ওষুধ ভালো কাজ দেয়। আউটডোরেই সেই ওষুধ দিয়ে একটু পরেই তাঁকে আবার আসতে বলেন। তারপর হাসপাতালের মনোবিদ মালবিকা গুহ এই সমস্যায় বিশেষ থেরাপির প্রয়োগ করেন। সেই চিকিৎসার কিছুক্ষণেই কথা বলেন ওই মহিলা। ছেলের খোঁজ করে বলে ওঠেন, ‘সইদ কই?’
নাম কী, বাড়ি কোথায়, ছেলেমেয়ে ক’জন, কেন কথা বলছিলেন না, একে একে এই সব প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দিতে থাকেন ওই গৃহবধূ। মাথা নেড়ে সায় দেয় সঙ্গে মা এর কথাতেও। বললেন, ‘পরপর মৃত্যু। ঝড় বইছে পরিবারে।’
সাড়ে ছ’ মাস পর স্ত্রী কথা বলায় ভীষণ তাঁর স্বামী। তিনি বললেন, ‘অভাবের সংসারেও খুশি ছিলাম। বউ কথা বন্ধ করে, মন খারাপ করে থাকায় কষ্ট হত। আবার কথা বলছে। আমার আনন্দ পায় কে!”