ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে অচলাবস্থা কাটানোর জন্য ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট’-এর কাছে দ্রুত বৈঠকে বসার জন্য ইমেল করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্ন থেকে ইমেল যায় আন্দোলনকারীদের কাছে। ওই ইমেলে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতেই জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় রাজ্য। নবান্নে যাওয়ার জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু প্রস্তাব ফেরালেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা। স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁদের ৫ দফা দাবি না মানা হলে তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনেই অবস্থানে থাকবেন।
advertisement
আলোচনায় বসতে চেয়ে তাঁদের কাছে যে ইমেল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠান হয়েছে, তাকে অপমানজনক বলে অভিযোগ করলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা৷ এ দিন সন্ধ্যায় নবান্নে গিয়ে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে ইমেল আসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৷ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য নবান্নে অপেক্ষা করছিলেন৷ যদিও রাজ্যের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিতিৎসকরা৷
রাজ্যের আলোচনা প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানান, নবান্ন থেকে নয়, তাঁদের কাছে ই মেল এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, আমরা স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি, অথচ তাঁর মাধ্যমেই আমাদের কাছে আলোচনায় বসার জন্য ইমেল পাঠান হয়েছে৷ ফলে এই ইমেলকে আমরা অপমানজনক বলেই মনে করছি৷ এর পাশাপাশি রাজ্যের পক্ষ থেকে পাঠান ই মেলে সর্বাধিক দশ জন চিকিসক প্রতিনিধিকে বৈঠকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের পাল্টা দাবি, এ ভাবে প্রতিনিধির সংখ্যা বেঁধে দেওয়া চলবে না৷ আলোচনার প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা পাল্টা রাজ্যের মনোভাব কতটা সদর্থক, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন৷