ইএনটি বিভাগের জুনিয়র চিকিৎসকরা গভীর রাতে বিভাগের ইনচার্জ চিকিৎসক প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভিডিও কল করে রোগীর অবস্থা দেখানো মাত্রই তিনি চলে আসেন হাসপাতালে। দেখা যায়, ত্রিশূলটি খাদ্যনালীর উপরের অংশ দিক দিয়ে ঢুকে ও প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। অদ্ভুত ভাবে স্বরযন্ত্র, ক্যারোটিড ধমনী, শ্বাসনালী, মেরুদণ্ডের অগ্রভাগ, খাদ্যনালী স্পর্শ করেনি ওই ত্রিশূল!
আরও পড়ুন : শিক্ষকের অভাব! মালদহে সরকারি স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন মিড মে মিলের রাঁধুনি
advertisement
আহত ব্যক্তিকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল থেকে ওই অবস্থায় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হলেও জ্ঞান হারাননি বছর ৩৩ এর ওই যুবক। কথাবার্তাও ছিল স্বাভাবিক। প্রণবাশিস বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ডাঃ সুতীর্থ সাহা, ডাঃ অর্পিতা মহান্তি, ডাঃ মধুরিমা রায় ও তাঁদের সমগ্র টিম অপারেশন করে সতর্কতার সঙ্গেই ত্রিশূলটি বের করে আনে।
আরও পড়ুন : প্রেমিককে বিয়ে করে জার্মানি থেকে ভারতে, গ্রামের পেঁয়াজ ক্ষেতে চাষ করছেন বিদেশিনী বধূ
চিকিৎসকরা জানান চমকে দেওয়া ঘটনা হল, অপারেশনের সময় তিন ইউনিট রক্ত মজুদ রাখা হলেও এক ইউনিটও রক্ত লাগেনি। প্রণবাশিস বন্দোপাধ্যায় বলেন, তন্ত্রসাধনা বা ব্ল্যাক ম্যাজিক এই দুর্ঘটনার পিছনে থাকতে পারে হয়তো! কারণ ওই যুবকের মুখের চারদিকে অদ্ভুতভাবে রক্ত লেগে ছিল। ইএনটি-র প্রধান ডাঃ সুমন্ত্র দত্ত বলেন, ‘‘এমন আশ্চর্য ঘটনা এত বছরের চিকিৎসা জীবনে দেখিনি।’’