রামপুরহাট মহকুমার মুরারই গ্রামের বাসিন্দা চম্পা কোঁড়া। রাজগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন তিনি। ফেব্রুয়ারি ২০২০ মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথম পক্ষের স্ত্রী নির্মলা কোঁড়া হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, দ্বিতীয় বিয়েই হয়নি তাঁর স্বামীর। বিয়ে ছাড়াই কী ভাবে বৈধ দ্বিতীয় স্ত্রী এবং বৈধ তাঁর দুই সন্তান? দ্বিতীয় স্ত্রী মালতি কোঁড়া ও তাঁর দুই সন্তান, ৩ জন কী ভাবে পেনশন-সহ যাবতীয় সুবিধায় ভাগ বসাচ্ছেন?
advertisement
মৃত্যুর পর চাকরির অবসরকালীন যাবতীয় প্রাপ্যের দাবিদার নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। দাবিদার হিসেবে ২ জনই স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। অন্যদিকে ৩ সন্তানের নাম আসে দাবিদার হিসেবে। হিন্দু মতে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদ আইনত সম্পূর্ণ না হলে কোনও অধিকার তৈরি হয় না দ্বিতীয় স্ত্রীর। অথচ এক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর সন্তান নিয়ে মোট ৫ জন দাবি করছেন পেনশন সহ অবসরকালীন প্রাপ্যের।
এদিন আদালতে সওয়ালে অভিযোগ করেন নির্মলা কোঁড়ার আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়।প্রশ্ন তোলেন, কোঁড়া পরিবারের বৈধ সদস্য সংখ্যা কত? তাই চম্পা কোঁড়ার সন্তানদের আসল বাবা কে তা খুঁজে বার করতেই DNA পরীক্ষার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশ মতো DNA পরীক্ষা হবে সরকারি কোনও হাসপাতালে বা প্রতিষ্ঠানে। ৩ সপ্তাহের মধ্যে সন্তানদের ডিএনএ পরীক্ষা করে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ। ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর ১০ মার্চ পরবর্তী শুনানি। বীরভূম জেলা স্কুল পরিদর্শকের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানান, আদালত যেমন নির্দেশ দেবে সেই মতো পদক্ষেপ নেব। ডিএনএ রিপোর্ট এলেই সব সংশয় দূর হয়ে যাবে।