দীনেশ ত্রিবেদী নিজেও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তৃণমূল ছাড়লেও রাজনীতি ছাড়ছেন না। এদিন রাজ্যসভায় তিনি বলেন, "দমবন্ধ হয়ে আসছে। অন্তরাত্মা ডাক দিয়েছে। অন্তরাত্মার ডাক শুনতে হয়। তাই আমি ইস্তফা দিচ্ছি। আমি রাজ্যের মানুষের জন্য সরাসরি কোনও কাজ করতে চাই। বাংলায় হিংসার পরিস্থিতির কারণে আমার মন খারাপ, আমি বুঝতে পারছি না আমি কী করব। আমি রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র বসুর দেশের লোক। আমি জন্মভূমির জন্য মাঠে নেমে কাজ করতে চাই, এই পরিস্থিতি দেখতে পারছি না।।" একাংশের মত, রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতৃত্বদের সঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদীর দূরত্ব বাড়ছিল। তাই দীনেশ তুলে ধরলেন দমবন্ধ তত্ত্ব। বিবেকানন্দের উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত-মন্ত্রও শোনা যায় তাঁর মুখে।
advertisement
দীনেশ ত্রিবেদী ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেরে যান অর্জুন সিংয়ের কাছে। দল অবশ্য তাঁর হাত ছা়ড়েনি। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়। সৌগত রায় দীনেশ ত্রিবেদীর দল ছাড়া নিয়ে বলেন, "যে কেউ দল ছাড়লেই খারাপ লাগে। এবারও খারাপ লাগছে।"
সূত্রের খবর, দীনেশ ত্রিবেদীর বিজেপিতে আসা কেবল সময়ের অপেক্ষা। অর্জুন সিং, শমীক ভট্টাচার্যরাও বলছেন তাঁদের অসুবিধে নেই দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে যোগদান করলে।
তৃণমূল অবশ্য বলছে, দীনেশ ত্রিবেদী যে ভাবে ইস্তফার কথা বলেছেন তাই অসংসদীয়। কেন না রাজ্যসভায় তৃণমূলের জন্য বরাদ্দ সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। এদিন সংসদে দীনেশ ত্রিবেদী নজিরবিহীন ভাবেই কথা বলার সুযোগ পান। তৃণমূলের একাংশ এমনও বলছে দীনেশ ত্রিবেদীর দলত্যাগ ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, দীনেশ ত্রিবেদী এলে বিজেপির লাভ, কারণ তিনি হিন্দিভাষী। রাজ্যের হিন্দিভাষীদের মন পেতে দীনেশ ত্রিবেদীর ইমেজ কাজে লাগবে বিজেপির, এমনটাই মনে করছেন তারা।