তিনি আরও বললেন, "চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করে রাখা হয়েছে। আমাদের পাঁচবারের কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিতের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে।" তৃণমূলের এই বিপুল জয় কি কাঙ্খিত ছিল ? দিলীপ ঘোষের জবাব, "নির্বাচনের পরিবেশ নেই তাই বিরোধী ভোটাররা ভোট দিতে বের হননি। ফলে যা হওয়ার হয়েছে।"
আরও পড়ুন: আপনিই কি ফের মেয়র? কলকাতার সবুজ ঝড়ের মাঝেই মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম! তুঙ্গে জল্পনা
advertisement
অন্যদিকে, প্রবীন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বললেন, "আশার কথা, কংগ্রেস ও বামেদের ভোট পার্সেন্টেজ বেড়েছে।" বাম-কংগ্রেস জোট হলে ভালো ফল হত ? প্রবীন কংগ্রেস নেতার কথায়, "আমরা একসঙ্গে লড়াই করিনি নিজেদের ক্ষমতা বোঝার জন্য। এই রেজাল্টের উপর অঙ্ক কষে ঠিক করতে হবে আগামী দিনের অবস্থান। বিজেপির উত্থান সাময়িক ছিল।" কলকাতার বুকে কংগ্রেস প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে মারধরের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, "আমার ৫০ বছরের জীবনে কখনও দেখিনি একজন প্রার্থীকে নগ্ন করে মারা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের 'নামেও' নির্দল তনিমার হার, তৃণমূলের সুদর্শনার ফের বালিগঞ্জ-জয়
ফল প্রকাশের পর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন বললেন, "ওরা বলেছিল অবকি বার দুশো-পার। সেসব মেলেনি। এবারেও অনেক আস্ফালন করেছিল। সব ধুলোয় মিশে গেছে। বিজেপি'র প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার আরও কমেছে। তৃণমূলের কথা ছেড়েই দিন, সিপিএম এবং কংগ্রেস এর তুলনায় কম ভোট পেয়েছে বিজেপি।" অন্যদিকে, এদিন বিজয়চকে বিরোধী শিবিরের পদযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রসঙ্গে দোলা আরও বলেছেন, "লখিমপুর কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিটেনি যতক্ষণ না পদত্যাগ করবেন ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।"